প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

ড. মাসরুর রিয়াজ : মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ ইতিবাচক

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেছেন, বৈশ্বিক এই সংকটময় পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো থেকে কৃষি খাতের ভর্তুকির দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়বে, এটা স্বাভাবিক। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে, এটা যৌক্তিক। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো সূদুর প্রসারী সুফল বয়ে আনবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জ¦ালানিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে বৈশ্বিক এই সংকটের প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে কম পড়বে। এটা খুবই কার্যকরি প্রস্তাব। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রস্তাব সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাবে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে। আর রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে রপ্তানি শিল্পে অভিন্ন করহার ব্যবসাবান্ধব। অভিন্ন করহারের কারণে রপ্তানির নতুন নতুন খাত তৈরি হবে এবং বাড়বে রপ্তানি আয়। এছাড়া বৈশ্বিক এই পরিস্থিতিতে করপোরেট কর হার কমানও ব্যবসার পরিবেশ তৈরির জন্য ইতিবাচক।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, তা অর্জন করা খুবই কঠিন। এসব লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত অর্জিত হয় না। প্রতিবারই ৭০-৭৫ ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। আর চলতি অর্থবছরে রাজস্ব বেশি এসেছে আমদানি বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে। আন্তর্জাতিকবাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এতে সরকারও বেশি রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে। তবে পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা সঠিক হয়নি। এতে অর্থপাচারকারীরা আরো উৎসাহিত হবে। সব মিলে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি যাওয়া এনবিআরের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়