প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

ড. জাহিদ হোসেন : বাজেটে কিছু চমক রয়েছে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে কিছু চমক রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রপ্তানি খাতের কোম্পানির কর বৈষম্য কমিয়ে আনা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের বাইরে রপ্তানিমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর প্রস্তাবিত বাজেটে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে যা ৩০ শতাংশ ছিল। আর গ্রিন ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে হবে ১০ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, তৈরি পোশাক খাতের বাইরে সব রপ্তানিকারকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিমুখী সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন করহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সোর্স ট্যাক্সের কারণে রপ্তানিকারকদের কিছু অর্থ আটকে থাকত এনবিআরের কাছে, যা বছর শেষে অর্থাৎ রিটার্নের সময় সমন্বয় করা হতো। এক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানিকারকরা সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, আয়করে করদাতাদের একটা উদারতা দেখানো হয়েছে। টিআইএনধারীরা যখন টিআইএন নেবেন সেই বছর রিটার্ন না দিলে আগে জরিমানা করা হতো। এক্ষেত্রেও শিথিলতা রয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এই প্রস্তাবগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ডলার সংকট মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে ডলারের সংকট কিছুটা কাটলেও মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়বে। বাইক থেকে শুরু করে কিছু বিষয়ে আমদানি শুল্ক বাড়নো হয়েছে। কারণ বাইক সাধারণত মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ডলারের সংকট কাটাতে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে গত বাজেটের তুলনায় বিদেশ ভ্রমণ ৫১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়