প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে ২০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : দুদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। মহারশি নদীর দীঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত বুধবার থেকে দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মহারশির ঢলের পানির তোড়ে দীঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ওই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভাটি এলাকার ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে আরো প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর বাজার, হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিসপাড়াগুলো ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে সরকারি দপ্তরগুলোর কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
উপজেলা ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রায় পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে বাঘেরভিটা চাপাতলী ব্রিজটি হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলের পানিতে কৃষির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান খান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল-মাসুদ সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। ঢলের পানিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়