প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

একজন করে শিক্ষক দিয়েই চলছে ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় : দিরাই

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জয়ন্ত কুমার সরকার, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে : দিরাই উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বিদ্যালয়গুলোতে আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের গৃহীত সব পদক্ষেপ। জানা যায়, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল রফিনগর ইউনিয়নের আলীপুর, পুরন্দরপুর, বলনপুর, কুড়ি জগন্নাথপুর ও কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। একজন করে শিক্ষক থাকায় ওই শিক্ষককেই করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ। মাসিক সমন্বয়সভাসহ অফিসিয়ালি অন্যান্য কাজে শিক্ষককে অনেক সময় উপজেলা সদরেও আসতে হয়। যার কারণে ঐদিন বাধ্য হয়েই বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন সহকারী শিক্ষক অবসর নিলে বিদ্যালয়টিতে একমাত্র শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন মনি চক্রবর্তী। আলীপুরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম পুরন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকসহ দুইজন শিক্ষক কর্তরত থাকলেও একজন শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণে থাকায় একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়টি। কর্মরত দুইজন শিক্ষকের মধ্যে একজন করে শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছেন কুড়ি জগন্নাথপুর, বলনপুর ও কুলঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ প্রসঙ্গে দিরাই উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিকে বদলি কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও গ্রামের স্কুলগুলোতে সবাই যেতে আগ্রহী না হওয়ায় ওই বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষা অফিসের উচিত প্রয়োজনের তুলনায় অধিক শিক্ষক রয়েছে এমন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের ডেপুটেশনে বদলি করে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠানো। এ প্রসঙ্গে দিরাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেয়া হবে। বর্তমানে ডেপুটেশনে নিয়োগের জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক কম থাকায় তাও সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকটের কথা আমরা অবগত আছি। তিনি বলেন, শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে আমি এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা অফিসারকে বলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়