সমস্ত অরণ্য ভরে গেছে কাক
সব পাখি চলে গেছে দূরতম দেশে…
এখানে এখন কান্নার দীর্ঘ ছায়া।
স্বজনের কায়াহীন বিষাদগুলো কি অবিরাম
বয়ে চলে দূর সমুদ্রে।
সীতাকুণ্ডের বুকে এখন স্তূপ স্তূপ রক্ত করবীর লাশ।
গাছের ছায়ায় বসলেই মানুষেরা ফুল হয়ে যাবে
তাদের মন থেকে বুনো ফসল নিমিষে উধাও হবে
নক্ষত্রের কাছে-তেমন ভরসা কই?
নারীর মতো চিকন দেহ নিয়ে নদী বয়ে যায়
দুঃখগুলো আহা মিশে থাকে ঢেউ তরঙ্গে।
ওই ফিকে পাহাড়ে মুছে গেছে রক্ত জল।
বৃহস্পতিবারের আকাশেও
নবমী নিশির কোন সুখ নেই।
শুধু পলিথিনের আবরণে মুড়ে রাখে ইতিহাস,
প্রতিটা মূহূর্ত সাদা-কালো রোল হয়ে ভেসে
ওঠে চোখের উপর।
যেন সন্তানহীন পিতা লিখে যায় এপিটাফ।
আহা! সীতাকুণ্ড আমার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।