সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : বার্ন ইনস্টিটিউটের রোগীরা পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে যারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন, তারা এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন। তবে বেশ কয়েক জনের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে হওয়ায় দ্রুত তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এদিকে, গতকাল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের দেখতে গিয়েছিলেন ডা. সামন্ত লাল সেনসহ বার্ন ইনস্টিটিউটের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানকার ২ জন রোগীকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন ১৬ জন রোগীর সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাতে নতুন আরেকজন যুক্ত হয়েছেন। ফলে সীতাকুণ্ডের মোট ১৭ জন রোগী বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে আছেন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ৩ জন আইসিইউতে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, একজন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন, সেটিও উইথড্র করা হয়েছে। আইসিইউতে থাকাদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। বাকি রোগীরাও ভালো আছেন। তবে ডিসচার্জ হওয়ার আগ পর্যন্ত সুস্থ বলা যায় না।
চোখের সমস্যা নিয়ে আরো ৬ জন রোগী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওই ৬ জনের মধ্যে ২ জনের চোখের সমস্যার পাশাপাশি বার্ন থাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন রোগীদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। তবে সেখানে আইসিইউতে থাকা রোগীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম বলেন, কয়েক জনের চোখে যে সমস্যা হয়েছে, তা প্রতিকারযোগ্য। চোখ লাল থাকা এবং পাতা দগ্ধ হলেও দেখতে পারছেন তারা। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা সুস্থ হয়ে যাবেন।
চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া দগ্ধ দুজন হলেন- শিল্পাঞ্চল থানার কনস্টেবল ইমরুল কায়েস (২২) ও বিএম কন্টেইনার ডিপোর ডেপুটি ম্যানেজার জসিম উদ্দিন (৫০)। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন বলেন, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে দুজন রোগীকে এখানে আনা হয়েছে। তাদের দুজনের পা দগ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি চোখে সমস্যা আছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্যসহ শেষ খবর জানা মতে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দগ্ধ ও আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই শতাধিক মানুষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়