সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ড কি আমাদের কাণ্ডজ্ঞান বাড়াবে?

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি মালিকানাধীন বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা শোনার পর আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিল : এটা কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা? এটা ঠিক যে দুর্ঘটনা কখনো বলেকয়ে আসে না। দুর্ঘটনা আকস্মিকই ঘটে। তবে পরিকল্পিত দুর্ঘটনাও হয় না তা নয়। সাবোটাজ বা অন্তর্ঘাত বলে একটি কথা আছে।
সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর ২৪টি সড়কবাতি পরীক্ষামূলকভাবে অল্পসময়ের জন্য জ্বালানোর খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোকোজ্জ্বল সেতুর ছবি দিয়ে অনেকেই উল্লাস প্রকাশ করেছেন। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরই সীতাকুণ্ডের ওই কন্টেইনার ডিপোটি অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়। দুটি আলাদা ঘটনা। কিন্তু ১৯৭২-৭৪-এর কিছু ঘটনা মনে করে আমি যেন কোথায় একটি মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম। সদ্য স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী উগ্র কিছু সংগঠন পরিকল্পিত নাশকতার পথ ধরেছিল। জনপ্রতিনিধি হত্যা, থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন- এসব চলছিল একের পর এক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুর সরকারকে ১৯৭৪ সালে জরুরি অবস্থাও জারি করতে হয়েছিল।
আমার আশঙ্কার কথা আমি একটি অনলাইন পোর্টালে লেখার পর আমার কয়েকজন বন্ধু ঠাট্টা করে বলেছিলেন, আমার নাকি সরকারের যড়যন্ত্র ব্যাধিতে পেয়েছে। সরকার তার ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য সবকিছুর পেছনে ষড়যন্ত্র খোঁজে। আমিও তাই করছি। আমরা শুধু চোখের সামনে যা ঘটে তা নিয়ে হইচই, মাতামাতি করি। ঘটনার পেছনেও যে ঘটনা থাকে তার খোঁজে আগ্রহ কম। সাদা চোখে দেখা বন্ধুদের কথায় আমি একটু খামোশ হলেও মনের খটকা দূর করতে পারছি না। ৫০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে কম কিছু তো দেখলাম না। সব কিছুর পেছনে ষড়যন্ত্র না খুঁজলেও নেপথ্যের কারণ খোঁজা তো অনুচিত কাজ নয়।
এত বড় একটি দুর্ঘটনা কীভাবে হলো, কন্টেইনার ডিপোতে কীভাবে আগুন লাগল, কেউ কিন্তু বলতে পারছেন না। তবে আমার শঙ্কার পক্ষে মত বাড়ছে। বুধবার ভোরের কাগজের প্রধান শিরোনাম ‘নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা’। প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়েছে : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি মালিকানাধীন বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা শুধুই কি দুর্ঘটনা; নাকি এর পেছনে অন্য কোনো বিষয় রয়েছে- বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে অনেককেই। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও এ ব্যাপারে নিবিড় তদন্ত শুরু করেছে। একাধিক মন্ত্রীও এরই মধ্যে সীতাকুণ্ডের ঘটনা নিয়ে তাদের সন্দেহের কথা বলেছেন। কন্টেইনার ডিপোটি যে স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালকও এটিকে নাশকতা হিসেবে অভিযোগ তুলেছেন। সুতরাং এটিকে শুধু দুর্ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে সচেতন মহল মনে করছেন। সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনাটি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দকে অবদমনে নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমন মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দেশের ভাবমূর্তি এবং রপ্তানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করাই উদ্দেশ্য, তা তদন্তের বিষয়।
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে গত মঙ্গলবার উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনও তার সন্দেহের কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গাফিলতি পেলে বা যদি কেউ জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক না কেন তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যে স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএম কন্টেইনার ডিপো, সেই স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানও দাবি করেছেন যে ঘটনাটি নাশকতা। গত রবিবার তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমি নিশ্চিত কেউ না কেউ সেখানে নাশকতা ঘটিয়েছে। তবে কে ঘটিয়েছে তা জানি না, এটি তদন্তসাপেক্ষ। তা নাহলে শুধু একটি কন্টেইনারে কেন বিস্ফোরণ হবে?
যে স্মার্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএম কন্টেইনার ডিপো, সেই স্মার্ট গ্রুপের জিম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকি গত মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে বলেছেন, যদি কোনো না কোনোভাবে রোহিঙ্গারা এখানে কাজ করে থাকে বা কাজ করার সুযোগ পায়, সেটিও আমাদের চিন্তার বিষয়। বিষয়টিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।
তবে সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল বলছে, এই যে রোহিঙ্গা যুবকরা দেশের আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত একটি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করছে, সেটিও কিন্তু এর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ এসব রোহিঙ্গা যুবককে আমাদের দেশের বিভিন্ন মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নানা সময়ে নানা নাশকতার কাজে ব্যবহার করেছে। এই রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নানা ধরনের সন্ত্রাসী ও নাশকতা কাজে যে লিপ্ত, সে ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে। এসব রোহিঙ্গার কাউকে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ব্যবহার করে আগুন লাগিয়ে দিয়ে নাশকতা করায়নি তারও তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে গত শনিবারের অগ্নিকাণ্ড ও বিধ্বংসী বিস্ফোরণের পেছনে কোনো নাশকতা ছিল বা ষড়যন্ত্র ছিল- এমন সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, চট্টগ্রামে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার গাফিলতি, কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, কেউ পুড়িয়েছে কিনা কিছুই বলা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না। সেটা আমি বিশ্বাস করি।
আমরাও তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি আছি। তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে তদন্ত কমিটি নিয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি করা হয় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলেই মানুষের বিশ্বাস। তদন্ত কমিটি কী পায়, তারা কী সুপারিশ করে সেসব প্রায়ই প্রকাশ করা হয় না।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে কেন সংযোগ খোঁজার চেষ্টা? কারণ এই সেতু নিয়ে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের মধ্যে বিশেষ আবেগ কাজ করছে। আবার এটা নিয়ে আছে রাজনৈতিক বৈরিতাও। প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু তৈরি হবে, এটা আজ থেকে ৫০ বছর আগেও হয়তো অনেকের কাছেই ছিল আকাশ কুসুম কল্পনা। কিন্তু এখন আর এটা কোনো কল্পনা নয়, বাস্তব। দেশ-বিদেশের নানা রকম বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, সাহস ও দূরদর্শিতার ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ। আগামী ২৫ জুন এই সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এই সেতু আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় সাফল্য হওয়ায় এই সেতু নিয়ে সরকার তার ঘরে কিছু সঞ্চয় যোগ করতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে জাঁকজমকের কোনো অপূর্ণতা রাখা হবে না। সেই প্রস্তুতি ও আয়োজন সরকার ও সরকারি দল করছে। পদ্মা সেতু চালু হলে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি সরকারের সক্ষমতার বিষয়টিও সামনে আসবে। এর মধ্যেই বিদেশি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে প্রতিবেদন-নিবন্ধ ছাপা হচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বের জন্য এসব আশার খবর নয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য নেতারা সারাক্ষণ সরকারের মুণ্ডুপাত করেন। খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে’। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটু ‘চুবানি’ দেয়ার রসাত্মক বক্তব্য যে কারো জন্য ‘কষাত্মক’ বা মারাত্মক হয়েছে- সেটাও ভুললে চলবে না।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সীতাকুণ্ডের আগুনের ক্ষয়ক্ষতি শুধু টাকার অঙ্কে নিরূপণের বিষয় নয়। এর সঙ্গে আরো অনেক কিছু জড়িত আছে। এতগুলো মানুষের জীবন গেল, এত বেশি সংখ্যক ফায়ার ফাইটার আগে কখনো আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারাননি। ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন, রাসায়নিকের কারণে আগুন লাগলে তা নেভানোর আধুনিক উপকরণ জোগাড়, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এই ঘাটতিগুলো পূরণে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। দেশের উন্নয়ন হোক সামগ্রিকতায় এবং টেকসই।
শেষ করতে চাই কয়েকটি অতি সাধারণ কথা দিয়ে। আগুন লাগার ঘটনা অনেক উন্নত দেশেও ঘটে। তবে তাদের ব্যবস্থাপনা উন্নত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। অগ্নিকাণ্ডে দেশে বছরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তার কোনো হিসাব না পাওয়া গেলেও আগুনে পুড়ে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বস্তি, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে আগুন লাগার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। কোনো কোনো অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়, কোনোটায় বেশি। আগুনে ক্ষতি না হওয়ার কোনো নিরাপদ ও স্থায়ী ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই। সাধারণত অসাবধানতার জন্যই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, বিড়ি-সিগারেটের পোড়া অংশ যেখানে-সেখানে ফেলে দেয়া কিংবা গ্রামাঞ্চলে কেরোসিনের কুপি থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দাহ্য পদার্থের গুদাম নিরাপদ জায়গায় না করার জন্য অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। শত্রæতাবশত আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে থাকে। আগুনে পুড়ে মানুষ আশ্রয় হারায়, সম্পদ হারায়, নিঃস্ব হয়ে পথে বসে। চোখের সামনে দাউ দাউ করে নিজের স্বপ্ন পুড়তে দেখে চোখের জলে বুক ভাসায় কিন্তু আগুন না লাগার মতো জনসচেতনতার অভাব দূর হয় না।
আগুন লাগার খবর পেলে ফায়ারব্রিগেডের পক্ষ থেকে নেভানোর দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হলেও কখনো কখনো কিছু যৌক্তিক কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়। আগুন লাগার স্থানের রাস্তাঘাট অপরিসর হলে, আশপাশে পানির উৎস বা সরবরাহ না থাকলে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। বড় বড় ভবন, পোশাক কারখানাসহ বেশিরভাগ জায়গায়ই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখা হয় না। নিম্ন মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার, বৈদ্যুতিক লাইন নিয়মিত চেক না করায় প্রধানত শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে যাতে মানুষের আশা এবং ভবিষ্যৎ পুড়ে না যায় তার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিয়ে সক্রিয়তা দেখাতে হবে সরকারকে আর আগুনের বিরুদ্ধে সব মানুষের সচেতনতা জাগাতে হবে।

বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়