সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

শিবালয়ে জয়েন্ট ভেঞ্চারে হচ্ছে রপ্তানিমুখী কারখানা

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুরেশ চন্দ্র রায়, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) থেকে : শিবালয়ের মুশুরিয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এওয়াইএ কালার প্রসেস ফ্যাক্টরি এবং ক্রপপি ফুড এন্ড বেভারেজ নামক ২টি কারখানা। এর মধ্যে একটি শতভাগ কৃষি নির্যাস থেকে তৈরি ফুড কারখানা এবং অপরটি এই ফুডকে বিদেশে পাঠানোর জন্য মোড়ক তৈরির কারখানা।
জানা গেছে, এ কারখানা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি জটিলতা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে নিয়েই নিয়মমাফিক সব কাজ করে যাচ্ছেন।
মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, কারখানা দুটো জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন অলোক সেন গুপ্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ ২৪০ শতাংশ জমি কিনে সেখানে মাটি ভরাট করে ইতোমধ্যেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন। অপরদিকে ফ্যাক্টরিতে যাতায়াতের জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে খাল পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি কালভার্ট। খালটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে থাকায় কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১০ বছর মেয়াদের জন্য বন্দোবস্ত নিয়েছে।
কোম্পানির ম্যানেজার আইনুল হক বলেন, এই কারখানা নির্মিত হলে একদিকে দেশে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা অপরদিকে স্থানীয় বেশ কিছু বেকার ছেলেমেয়ে খুঁজে পাবে তাদের কাজের ঠিকানা।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউসুল হাসান মারুফ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। এখন তারা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয় থেকে দশ বছরের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন। তবে পরবর্তী সময় বৃদ্ধি করা যাবে। মৌজার রেট অনুযায়ী এ অনুমোদনের জন্য সম্ভবত ২৮-৩২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ যে কার্যক্রম চলমান রেখেছেন সেটি সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ। তাদের এ কার্যক্রমে এখন আর কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক অলোক সেনগুপ্ত ভোরের কাগজকে বলেন, এখানে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি হলে জনবল ও দেশ উপকৃত হবে। এই চিন্তা থেকেই মূলত কারখানা দুটো নির্মাণে উৎসাহিত হয়েছি। প্যাকেজিং কোম্পানি অস্ট্রেলিয়া এবং ফুড ডিভিশন কোম্পানি আমেরিকার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। কারখানা দুটো নির্মাণে ৩০-৪০ কোটি টাকা খরচ হবে। আমরা এখন ব্যক্তিগত টাকা খরচ করছি। তবে পরবর্তী সময়ে ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করব। ২টি কারখানায় প্রায় ৬০০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্যাকেজিং কোম্পানি এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি নাগাদ ফুড ডিভিশন চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারখানার রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলে প্রতি মাসে দেশের ১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক আয় অর্জিত হবে। পর্যায়ক্রমে এই ডলারের পরিমাণ আরো বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়