সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

মিতু হত্যা মামলা : মাগুরায় গিয়ে দুই সন্তানের জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পিবিআই কর্মকর্তাদের মাগুরায় গিয়ে শিশু আইন মেনে অভিভাবক দাদা ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের দুই সন্তানের জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদদীনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুন) শিশু আইন অনুসরণ করে সমাজসেবা কর্মকর্তার সামনে জবানবন্দি গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর রাষ্ট্র ও আবেদনকারী পক্ষের শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য বুধবার দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মার্চ দুই সন্তানকে শিশু আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আবেদন (রিভিশন) করেন বাবুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ ও বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান। শিশু দুটি বর্তমানে মাগুরায় দাদার সঙ্গে থাকে। আবেদনের পর আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছিলেন, শিশু আইন অনুসারে শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিশুদের অভিভাবক ও শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে হবে। তবে ১৬ মার্চ দেয়া আদেশে এ বিষয় উল্লেখ না থাকায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।
সে সময় সারাদেশে এই হত্যাকাণ্ড ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। পরে স্ত্রী হত্যার বিচার চেয়ে বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায যে মামলা করেছিলেন, তার তদন্ত করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কথা জানায় পিবিআই। এরপর সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। বাবুলের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করেন তার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। ওই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গত বছরের ১২ মে ওই মামলায় বাবুলকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান বিচারক। এখন তিনি কারাগারে আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়