সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

জুরাইনে পুলিশকে মারধরের মামলায় ৫ জন রিমান্ডে

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া একজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- সোহাকুল ইসলাম রনি, ইয়াসিন আরাফাত ভুইয়া, মো. শরিফ, মো. নাহিদ ও মো. রাসেল। এছাড়া জামিন পেয়েছেন আইনজীবী ইয়াসিন জাহান নিশাত।
গতকাল এ মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পাঁচ আসামির সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে এবং আইনজীবী নারী আরেক আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পরিদর্শক খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিব উল্যাহ হিরু, এহেসানুল হক সমাজীসহ আরো কয়েকজন। আইনজীবীদের গ্রেপ্তারের খবরে তাদের সহকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে এসে ভিড় করেন। এজলাস এবং এর বাইরে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়। তারা আইনজীবীদের জামিন চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের বিরুদ্ধেও তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে আদালতের বিচারকাজও বিলম্বিত হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর অন্তঃসত্ত্বা বিবেচনায় নারী আইনজীবী আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জুরাইন রেলগেট সড়কের উল্টো দিক দিয়ে স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে আসছিলেন এডভোকেট নিশাত। এ সময় সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ তাদের গতিরোধ করেন। নিশাত নিজেকে এডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে ইয়াসিন মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এ সময় এডভোকেট নিশাত চিৎকার শুরু করলে পাঠাও ও অটোচালকরা সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করেন।
খবর পেয়ে শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল চন্দ্র অপুসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করা ছাড়াও ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করে। পরে আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এতে আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব আহত হন। মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন।
এদিকে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় আদালতে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়