সংসদে আলোচনা : ‘ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সিঁড়ি’

আগের সংবাদ

ছয় লক্ষ্য অর্জনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন : ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট, সর্বোচ্চ ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক > বাজেট ২০২২-২৩

পরের সংবাদ

উইন্ডিজে স্পিনাররা আলো ছড়াবেন

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দেশি স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম ছিলেন। মিরাজ, নাঈম, তাইজুলদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই দেশীয় কোচের নামটাই আসে। তবে তিনি এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে থাকছেন না। আবার রঙ্গনা হেরাথ ছুটিতে থাকায় কোনো স্পিন কোচ ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে টাইগাররা। এই সময়টা তাদের দেখভাল করবেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সোহেল ইসলাম। তিনি মনে করেন অভিজ্ঞতার দিক থেকে তাইজুল-মিরাজরা এখন অনেক পরিপক্ব। সেদিক বিবেচনায় সফররত স্পিনাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তারা ভালো করবে। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি দেশের স্পিনারদের নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। সফররত স্পিনারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি বলব, আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমরা সবশেষ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করি, সেটা ২০১৮ ছিল, এখন ২০২২। তো এই ছেলেগুলোই সেখানে গিয়েছিল টিমের সঙ্গে, তখন মিরাজ, তাইজুল, সাকিব ছিল। তো এদের আসলে অভিজ্ঞতা বেশি হয়ে গেছে চার বছরের মধ্যে। তারা এই সময়ের ভেতর দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় খেলেছে। এই অভিজ্ঞতার তো একটা মূল্য অবশ্যই আছে। আমি আশাবাদী যে তারা ওখানে ভালো করবে।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্পিনার সংকট নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। মেহেদী হাসান মিরাজের পর নাঈম হাসানও চোটে পড়লে তাদের বদলি হিসেবে ভালো কোনো অফস্পিনার পাওয়া যাচ্ছিল না। আবার যদি সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম দুজন একসঙ্গে না থাকেন, তবে বাঁ-হাতি স্পিনারের ভালো বিকল্পও নেই বাংলাদেশ দলে। তবে কি দেশে ভালো মানের স্পিনারের আকাল পড়ে গেছে- এ প্রসঙ্গে বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম মনে করেন, পাইপলাইনে স্পিনার ঠিকই আছে, কিন্তু তাদের সময় দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘মিরাজ, তাইজুল কিংবা নাঈম হাসান একদিনেই তৈরি হয়নি। যারা উঠে আসবে তাদেরও সময় দিতে হবে। আমি বলব না অফস্পিনার নাই। আমাদের আছে, এদের নার্সিং করতে হবে। তাদের আন্তর্জাতিক মানের কিছু ম্যাচ খেলাতে হবে ব্যাকআপে এবং অনুশীলনটা ওখানে লাগবে। আমি যদি ওরকম পরিবেশ তৈরি করতে না পারি বা ভালো ম্যাচ না দিতে পারি, তাহলে রেডি হওয়া আসলেই কঠিন।’
সঙ্গে যোগ করেন সোহেল, ‘পাইপলাইন তৈরি হতেও সময় লাগে। আমরা সবাই জানি আসলে আমাদের যে ঘরোয়া ক্রিকেট হয়, ওটার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে একটা মানের পার্থক্য আছে।
তো একটা ছেলেকে আমি পাইপলাইন থেকে যদি তুলে নিয়ে যাই, সে খুব ট্যালেন্টেড এবং ভালো কিন্তু তারও আন্তর্জাতিক খেলার জন্য সময় দিতে হবে। আমরা হঠাৎ করে নিয়ে আসব এবং দুটা ম্যাচ দেখে তাকে বিচার করে ফেলব এটা তার জন্যও খারাপ।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়