রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় আগ্রহ নেই নায়েবদের : জমির অভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিয়াউর রহমান রিন্টু, চৌগাছা (যশোর) থেকে : চৌগাছায় জমির অভাবে বন্ধ হতে চলেছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। অথচ উপজেলায় কোটি কোটি টাকার সরকারি জমি অবৈধভাবে রেকর্ড করে ভোগ করছে একশ্রেণির ভূমিদস্যু। এসব সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা নায়েবদের কোনো আগ্রহ নেই। উল্টো তাদের কারসাজিতেই সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি নামে রেকর্ড হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মশ্মমপুর মৌজার সাবেক ৬৯০ এবং হাল ৮৩৫নং দাগের ৭ একর ৫৬ শতক জমি এখন ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ১নং বা খাস খতিয়ানের বিল শ্রেণির এই জমির অধিকাংশ এখন ব্যক্তিগত রেকর্ডকৃত সম্পত্তি। চৌগাছা পৌর ও ইউনিয়ন নায়েব আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এই জমির ৪ একর ৪৬ শতক সরকারের দখলে রয়েছে বাকি ২ একর ৮০ শতক জমি দুজন রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন নামে ৯০ সালে রেকর্ড হয়েছে। পিতম্বরপুর গ্রামের গরিবপুর মৌজায় সম্পদশালীরা নিজেদের নামে সরকারি জমি বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে এ ধরনের জমির অভাব না থাকলেও শুধুমাত্র জমির জন্য গরিব ও অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মহৎ উদ্যোগ, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে আছে।
রাস্তার পাশের সরকারি গাছ রক্ষা করাও নায়েবদের দায়িত্ব। গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন উপজেলার ধুলিয়ানি গ্রামের এক ব্যক্তি রাস্তার পাশের ৪-৫ লাখ টাকা মূল্যের কয়েকটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নায়েবকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ সত্ত্বেও নায়েব রেজাউল ইসলাম আজ পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। গতকাল মঙ্গলবার নায়েব রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দেখি সার্ভেয়ার পাই কিনা।
অভিযোগ আছে, উপজেলার স্বরূপদাহ ভূমি অফিসে ৪৪৮ টাকার কাজে খরচ লাগে ৫ হাজার টাকা। নায়েব জাহাঙ্গীর আলমের এই কাজে ক্ষুব্ধ সেবা গ্রহীতা এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে আগামীতে ১০৯টি ঘরের তালিকা আছে। সেই ঘরের জন্য জমি সংকট। আর স্বরূপদাহর নায়েবের বিষয়টি প্রমাণ হয়নি। মশ্মমপুরের সরকারি জমি ব্যক্তি নামে রেকর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, নায়েবকে আমি রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করতে বলব। ধূলিয়ানির গাছের বিষেয়ে নায়েব কিছু জানাননি বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়