রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

সরকারি-বেসরকারি কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ করবে ডিএসসিসি

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি-বেসরকারি সব কাঁচাবাজার সমন্বিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘সিটি-লেভেল সেমিনার’ ঢাকা সাউথ সিটি করপোরেশনস প্রায়োরিটিজ এন্ড কন্ট্রিবিউশন্স ফর দ্যা ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর সিতওয়াত নাঈমসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই শতাধিক কাঁচাবাজার রয়েছে। যত্রতত্র সেসব কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী কাঁচাবাজারগুলো নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনেরই। সেজন্য আইনের আলোকে প্রবিধান করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। কিন্তু ইতোপূর্বে সেই প্রবিধান কখনোই করা হয়নি। বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে আমরা সেই প্রবিধানমালা প্রণয়ন করেছি। প্রবিধানটি ২ সপ্তাহ আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেটার অনুমোদন পাব। অনুমোদন প্রাপ্তির পর প্রবিধানের আলোকে সমন্বিতভাবে সরকারি-বেসরকারি সব কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ করব এবং সেগুলোকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা হবে।
সেমিনারে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জন টেলর বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ঢাকার খাদ্য ব্যবস্থাকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই করে ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১ তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করা। এটি সরকার ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও নির্দেশনা দিতে পারবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়সঙ্গত, সহজলভ্য এবং স্থিতিস্থাপক খাদ্য ব্যবস্থায় অবদান রাখতে পারে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, শুধু ঢাকা না বরং সারাদেশের অনেক শহর একই ধরনের কৌশল তৈরি করতে পারে এবং তা করা উচিত।
নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা উত্তর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ‘ঢাকা ফুড সিস্টেম-২০৪১’ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের জন্য ২০৪১ সালে সাশ্রয়ী মূল্যে, উন্নতমানের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি এন্ড রিসার্চের প্রযুক্তিগত সহায়তায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি প্রমাণভিত্তিক এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১ তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে। এটি জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়