রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

শান্তিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করছে স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন স্কুলের বাইরে থাকার কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন আসে এবং মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে নিয়মতান্ত্রিক জীবনে অনভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। অনেক অভিভাবকও উদাসীনতা দেখান। ফলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের পথে বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেক শিক্ষার্থীও স্কুলবিচ্ছিন্ন হয়ে ঝরে পড়ে। এই পরিস্থিতির হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতেই শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মহতি উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান স্টার সুডেন্ট প্রোগ্রাম।
উপজেলার ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালুর পর বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে প্রোগ্রামটি। প্রোগ্রামটি চলমান থাকায় উচ্ছ¡সিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এটি মূলত প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আনন্দদায়ক করা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই চালু করা হয়। এর অধীনে বাচ্চাদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষে মেডিটেশন, হ্যাপিনেস ক্লাস ইত্যাদির প্রচলন করা হয়েছে। এটা খুবই আশাপ্রদ যে হ্যাপিনেস কারিকুলাম শিশুদের, তাদের পরিবার এবং তাদের শিক্ষকদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। যদি মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যে হ্যাপিনেস ক্লাসের কারণে শিশুদের মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে থাকে, তাহলে আগামী দশ বছরে শিশুরা তাদের জীবনে সুখকে পুরোপুরি গ্রহণ করবে এবং তা তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে পরিণত হবে। এরাই প্রকৃত সুখের প্রতিনিধি এবং সমাজে একটি ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। কথা হলে একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামটি চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলমুখী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করি এই প্রোগ্রামের সুফল শিক্ষার্থীদের জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম খান বলেন, আমাদের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামটি চলমান আছে। এই প্রোগ্রামটির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝরেপড়া রোধের পাশাপাশি স্কুলমুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ, আনন্দদায়ক শ্রেণি পাঠদান, তাদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যেই এই স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

যতদিন যাবে এর সুফল আরো বৃদ্ধি পাবে। কোনো শিক্ষার্থীই যাতে ঝরে না পড়ে আমরা সার্বক্ষণিক সেদিকে খেয়াল রাখছি। তাদের লেখাপড়ার জন্য যা প্রয়োজন সব করব আমরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়