রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

মার্কিন দূত : কোনো পরিস্থিতিতেই দূতাবাস বন্ধ করবেন না!

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘিরে সৃষ্ট সংকট যতই গভীর হোক না কেন, মস্কোর উচিত হবে না সেখানকার মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার মতো হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। এ মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন জে সুলিভান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে অবশ্যই কথাবার্তা হতে হবে, বলেন তিনি। গত সোমবার রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমলে নিয়োগ পাওয়া সুলিভান এসব বলেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেনে আক্রমণকে রাশিয়ার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ মনে করার পাশাপাশি একে বিশ্বজুড়ে মার্কিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে উত্থান হিসেবে দেখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে ক্রমাগত অপমান করে গেছে বলেও মনে করেন ক্রেমলিনপ্রধান।
ইউক্রেন ও এর পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণকে দেখছে বেপরোয়া সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখলের চেষ্টা হিসেবে। দুই পক্ষের এই লড়াইয়ে এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ গেছে, উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে কয়েক কোটি মানুষ। মস্কো-ওয়াশিংটনের এ বৈরিতা সত্ত্বেও কারোই অপর পক্ষের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত হবে না বলে মনে করেন সুলিভান। তাসকে তিনি বলেন, পশ্চিমা লাইব্রেরিগুলো থেকে লিও তলস্তয়ের কাজ সরিয়ে দেয়া এবং বিখ্যাত রুশ সুরকারদের সুর বাজানো বন্ধের ব্যাপারেও সতর্ক করেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এমন কী স্নায়ুযুদ্ধকালীন গুপ্তচরগিরি ও তুমুল উত্তেজনার মধ্যেও মস্কো ও ওয়াশিংটন কখনোই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি।
রাশিয়া এখন বলছে, সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে তাদের যে আগ্রহ ছিল তা শেষ হয়ে গেছে, তারা এখন প্রাচ্যের দিকে ?মুখ ঘোরাবে। গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, তিনি টেইলর সুইফটের ‘উই আর নেভার এভার গেটিং ব্যাক টুগেদার’ গানটি পুতিনকে উৎসর্গ করতে চান। এ প্রসঙ্গে সুলিভানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি সম্পর্ক ছিন্ন করতেও পারব না। পাল্টাপাল্টি এই রেষারেষিতে দুই দেশের দূতাবাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এ রাষ্ট্রদূত বলেন, হতে পারে, সম্ভাবনা আছে, যদিও তেমনটা হলে তা বড় ভুল করা হবে বলে মনে করি আমি।
আমেরিকা স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর ?রুশ সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন দ্য গ্রেট ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি সমর্থন জানাতে রাজি হননি, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তখনকার রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের গোড়াপত্তন করে। ১৯১৭ সালের অক্টোবরে বলশেভিক বিপ্লবের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইড্রো উইলসন ভøাদিমির ইলিচ লেনিনের বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অসম্মতি জানান এবং তারই ধারাবাহিকতায় ১৯১৯ সালে রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩৩ সালে ওই সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে ভালো হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ৬২ বছর বয়সি আইনজীবী সুলিভান বলেন, কীভাবে হবে তা তিনি জানেন না, তবে একদিন সৌহার্দ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলেই তিনি আশাবাদী; বলেন, যদি বাজি ধরতে বলেন, আমি বলব, সম্ভবত আমার জীবদ্দশায় এমনটি হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়