রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

বিভিন্ন দাবিতে সিএন্ডএফের কর্মবিরতি : দেশের ১১ স্থলবন্দরে পণ্যজট

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌলিক অধিকার পরিপন্থি কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্স বিধিমালা ২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন বির্তকিত আইন বাতিলের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিএন্ডএফ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন। এ কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোলসহ দেশের ১১টি শুল্ক স্টেশনে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে বন্দরগুলোতে দেখা দেয় পণ্যজট। কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, যত দিন পর্যন্ত দাবি মানা না হবে, তত দিন ধরে এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বেনাপোল (যশোর) : কর্মবিরতিতে বেনাপোল কাস্টম হাউস গেটের সামনে ছিল উত্তাল। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতা ও কর্মচারীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সামছুর রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মৌলিক অধিকার পরিপন্থি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০১৬ ও ২০২০ সংশোধনসহ পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোর্ড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। এছাড়া এইচএস কোর্ডে কাস্টম কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে ভুল ধরতে পারলে পণ্যের ওপর ২০০ পারসেন্ট জরিমানা করছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ আইন এবং ব্যবসায়ীদের ওপর মারাত্মকভাবে হুমকিস্বরূপ। যে কারণে রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মৌলিক অধিকার পরিপন্থি আইন বাতিলের দাবিতে সারাদেশের ১১টি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যত দিন পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হবে, তত দিন ধরে তাদের কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দিনব্যাপী বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি পালন করায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বন্দর এলাকায় পণ্যজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সরকার বঞ্চিত হয়েছে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ থেকে।
সাতক্ষীরা : ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সব পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন প্রায় ২০০-৩০০ শ্রমিক-কর্মচারী। বন্দর জেটিতে পণ্যের শুল্কায়ন ও ছাড়করণের কাজ করে থাকেন এসব সিএন্ডএফ শ্রমিক-কর্মচারীরা। সংগঠনের মহাসচিব মো. সুলতান হোসেন খান বলেন, আমাদের এ দাবি না মানা পর্যন্ত ভোমরা বন্দরসহ দেশের সব শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি চলবে। তিনি আরো বলেন, তাদের এ কর্মবিরতির ফলে ভোমরা বন্দরসহ সকল শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পণ্যের শুল্কায়ন ও ছাড়করণের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : সকাল থেকে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, সারাদেশের সব শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছি আমরা। এরই অংশ হিসেবে সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশনের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছিলাম আমরা। সিএন্ডএফ এজেন্টদের দাবি- সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করতে দিতে হবে। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি সৈবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, সাবেক সভাপতি আবদুল আওয়াল, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : কর্মবিরতির ফলে স্থলবন্দরে অন্তত ৫টি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে। এছাড়া কর্মবিরতির করে এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মৌলিক অধিকার পরিপন্থি কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে সারাদেশেই কর্মবিরতি পালন করা হয়।
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) : বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সকালে স্থল শুল্ক স্টেশনের সামনে প্রতিবাদ ও কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুসা, সাদেকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালে কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিংয়ের বিরুদ্ধে একটি কালো আইন পাস করে রাজস্ব বোর্ড। সেই আইন বাতিলের দাবিতে আজ আমরা দেশের সব স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
এছাড়া ঢাকা, চিটাগাং, মোংলা, হিলি, বিবির বাজার ও সিলেটের তামাবিলে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়