রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

পঁচাত্তরের হাতিয়ার স্লোগানে মতাদর্শের অনিবার্য প্রকাশ

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আধুনিক যুগে পরাধীনতার কবল থেকে মুক্ত হতে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে অগ্রসর রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা সব দেশেই সেøাগান উচ্চারণ করেছেন। উপনিবেশবাদ নিপাত যাক, সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক, স্বাধীনতা মুক্তি পাক, স্বাধীনতা আনব, প্রয়োজনে রক্ত দেব, জীবন দেব। এসব সেøাগান ইংরেজদের বিতাড়িত করতে শুধু আমাদের দেশেই নয়, অন্যান্য দেশে পৃথিবীর ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত, দেশপ্রেমিক যোদ্ধারা দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন। এসব স্লোগানের মর্মবাণী পরাধীন দেশের মানুষজন উপলব্ধি করে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হয়েছিলেন, অনেকে প্রাণও দিয়েছেন। পৃথিবী দেশে দেশে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বিপ্লবও সংঘটিত হয়েছিল নানা উদ্দীপনামূলক সেøাগানে রাজনীতিতে। যেখানে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে সেখানে উচ্চারিত হয়েছে- বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ নিজেদের ভাষায় ব্রিটিশবিরোধী এবং স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান উচ্চারণ করেছিলেন। মিছিল এবং জনসভায় নেতাকর্মীরা স্লোগানে মুখরিত হতেন, বক্তৃতাও শেষ করতেন। রাজনৈতিক এসব স্লোগানের ভেতর দিয়েই মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করা, উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ করার কাজটি খুব অল্প কথায় করা সম্ভব হতো। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার জনগণ যেসব রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে স্লোগান শুনে আন্দোলিত হয়েছিলেন তাতেই রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিফলন ঘটেছিল। মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামে ইসলামিরা পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে স্লোগান দিত। বিপক্ষের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র দাবি করত। এসব রাজনৈতিক দলের পাকিস্তানপ্রীতি এবং বাঙালি ও বাংলাদেশবিরোধী রাজনৈতিক অবস্থান খুবই স্পষ্ট ছিল। তাদের স্লোগানেই প্রতিফলিত হতো তাদের রাজনীতি। তাদের দলের নেতাকর্মীরাও সেই রাজনীতিতেই দীক্ষা লাভ করেছিল। পাকিস্তানের জন্য তাদের দলের নেতাকর্মীরা পূর্ব বাংলার জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিরুদ্ধে এতটাই অন্ধভাবে অবস্থান গ্রহণ করেছিল যে, যখন পাকিস্তানিরা পূর্ব বাংলাকে বাঙালি শূন্য করতে অস্ত্র হাতে আক্রমণ শুরু করেছিল। তখন এই অন্ধ বিশ্বাসীরা নিজের জাতিসত্তা, ভাষা, সংস্কৃতিকে ভুলে গিয়ে পাকিস্তানিদের প্রতি অন্ধ আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। এক পর্যায়ে তারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি, মুজাহিদ বাহিনী ইত্যাদি গঠন করে বাঙালি নিধনে অংশ নিয়েছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রক্তপাত সংঘটিত করেছিল। এই বিশ্বাস এবং আদর্শ ওইসব পাকিস্তানপন্থি এবং বাংলাদেশবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের স্লোগান ও রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চার মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছিল। এতে কোনো দেশপ্রেম ছিল না, ছিল পাকিস্তানের প্রতি অন্ধবিশ্বাস। এতে কোনো যুক্তিবাদী চিন্তা, ইতিহাস, ঐতিহ্যনির্ভর রাজনীতি, বিশ্ববাস্তবতার আলোকিত চিন্তাও ছিল না, সেকারণে পাকিস্তানের পরাজয়ের পরও অন্ধ অনুগত অনুসারীরা নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শের কোটর থেকে বের হতে পারেনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজনীতির সেই পরাজিত অপশক্তি দেশের রাজনীতির উত্থান পতনের সুযোগ নিয়ে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মতাদর্শগত স্লোগান হাজির করেছে। এরা জিন্দাবাদ, ইসলামি বিপ্লব, ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, তালেবান, আফগান, রুশ ভারতের দালাল, হুঁশিয়ার, সাবধান ইত্যাদি চটকদার স্লোগানে তাদের নেতাকর্মীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। যারা রাজনীতির বহিরাঙ্গনকে স্পর্শ করে আকৃষ্ট হয়। ভেতরের আদর্শ ও চিত্রকে বোঝার যোগ্যতা রাখে না কিংবা বোঝার চেষ্টা করে না- তারা এসবে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়ে থাকে। এর ভেতর দিয়ে তাদের মনোজগৎ, বিশ্বাস ও রাজনৈতিক মতাদর্শগত অবস্থান, দলীয় পরিচয়, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য একইভাবে ধাবিত হয়।
অন্যদিকে পূর্ববাংলার জনগণের অধিকার, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তিকে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, রাজনৈতিক দল, আন্দোলন সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষা, জেল জুলুম ও নির্যাতন ভোগ করার মাধ্যমেও মানুষকে সংগঠিত করার পথের দীক্ষা ছাড়েননি। বরং সেটিকে বেগবান করতে জীবন উৎসর্গ করতেও পিছপা হননি। তারাই ৫০ ও ৬০-এর দশকে পূর্ববাংলার জনগণকে উজ্জীবিত করতে একের পর এক আন্দোলন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়েছেন, নানা স্লোগান ও রাজনৈতিক বক্তব্য, জনগণকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছিলেন। এই রাজনীতি ধীরে ধীরে মানুষকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন অবস্থান তৈরির আদর্শ প্রচার করেছিল। সেখানে যুক্ত হয়েছিল পাকিস্তানের শোষণবিরোধী নানা স্লোগান, বাংলা ভাষার সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে দাবির প্রকাশও ঘটেছিল ওই স্লোগানে। এর মধ্যে বাংলা ভাষা ও বাঙালিত্ব, জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ঘটানোর রাজনীতির উন্মেষ ও বিকাশ ঘটানো হয়েছিল। রাজনীতির এই মতাদর্শ ৫০ ও ৬০-এর দশকের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিকশিত হতে থাকে। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারার পক্ষে মানুষকে সচেতন ও উজ্জীবিত করতে একের পর এক কর্মসূচি ও আন্দোলন সংঘটিত করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে পূর্ববাংলার জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবির মধ্যে যে রাজনীতি ও মতাদর্শের অবস্থানকে পরিষ্কার করেছিলেন তা ছিল পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনকেন্দ্রিক চিন্তা থেকে প্রয়োজনে স্বাধীনতায় উত্তরণ। এই কর্মসূচি পূর্ব বাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তাতে ৬ দফার নামে উচ্চারিত স্লোগান ছিল মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য অধিকার আদায়ের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। অচিরেই এই সংগ্রাম সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আরো বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করে। আইয়ুব শাহীর গদির বিরুদ্ধে স্লোগান উচ্চারিত হয়েছে- জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব; পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা; পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা ঢাকা; আইয়ুব শাহের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে। এইসব স্লোগান তখন পূর্ববাংলার গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র মুখরিত হতে থাকে। তাতে অংশ নিয়েছিল লাখ লাখ শিশু, নারীপুরুষ, তরুণ যুবসহ সব বয়সের মানুষ। এই স্লোগান মানুষের অন্তর থেকে বের হয়ে আসা ধ্বনিকে প্রতিধ্বনিত করেছিল। এর মধ্য দিয়ে মানুষ পাকিস্তানের সর্বগ্রাসী শোষণকে উপলব্ধি করার রাজনীতি বুঝেছিল। একইসঙ্গে পূর্ববাংলার ঠিকানা ও রাজনীতির গতিপথ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করেছিল। এই আন্দোলন ও রাজনীতি পাকিস্তানের আইয়ুবের স্বৈরশাসনকে বিদায় নিতে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল এবং পতনও ঘটিয়েছিল। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয়েছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে, শেখ মুজিবসহ রাজনীতিবিদদের মুক্তি দিতে। মুক্ত শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধুর নামে জনগণের কাছে ভূষিত হলেন। আইয়ুব খানকে বসতে হলো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ৬ দফা নিয়ে কথা বলতে।
শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তেও আইয়ুব খান বাধ্য হলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ববাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন যত বেগবান হচ্ছিল, তত তাতে যুক্ত হচ্ছিল নতুন নতুন স্লোগানের। সেইসব স্লোগানে প্রতিফলিত হচ্ছিল স্বাধীনতা ও জনগণের মুক্তির দাবি। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে এই রাজনীতি তখন পূর্ববাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের শুধু মতাদর্শের প্রতিফলনই ঘটায়নি, বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ গ্রহণেরও শক্তি জুগিয়েছিল। সেই শক্তি পাকিস্তানকে পরাজিত করার মতো ক্ষমতারও প্রকাশ ঘটানোর ইঙ্গিত বহন করে। এই শক্তি অস্ত্রের নয় জনগণেরই ঐক্যের শক্তি ছিল। এর ওপর ভিত্তি করেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং জনগণকে স্বাধীনতার পথ প্রদর্শন করতে পেরেছিল। পাকিস্তান ক্রমেই পূর্ব বাংলার জনবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সেটিকে প্রতিহত করতেই ২৫ মার্চে পাকিস্তানিরা গণহত্যা শুরু করে। তখন মানুষের স্লোগান-বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন করো, প্রধান স্লোগানে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে পূর্ব বাংলার জনগণ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন স্লোগান ছিল- তোমার নেতা, আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব, জয় বাংলা, রক্ত দেবো তবু মাথা নোয়াবো না। এ ধরনের হাজারো স্লোগান তখন মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
বামপন্থি অনেক রাজনৈতিক দল যেসব স্লোগান উচ্চারণ করেছিল তার বেশিরভাগই ছিল বিভ্রান্তিকর। তাদের বেশিরভাগেরই অংশগ্রহণ ছিল বিতর্কিত।
স্বাধীনতার পর নতুন বাস্তবতায় উগ্র ডান, উগ্র বামরা যেসব স্লোগান উচ্চারণ করেছিল। তা তাদের রাজনৈতিক দৈন্যদশারই পরিচয় শেষ পর্যন্ত বহন করেছিল। তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক জিঘাংসার রাজনীতির প্রবর্তন করে। তাতে সামরিক, বেসামরিক, আমলা, সুবিধাবাদী, উগ্র ডান, উগ্র বাম রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি ভেঙে তছনছ করে দেয়া হয়। এই শক্তি ’৭৫-এর ঘাতক এবং তাদের সমর্থক সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। ’৭৫ পরবর্তী থেকে সেই রাজনৈতিক অপশক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপরাজনীতি, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতি, উগ্র মতাদর্শের ধারা, সমাজ, রাষ্ট্র এবং জনজীবনের সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছে। তাতে ধর্ম, ভারত, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে পাকিস্তানযুগের জামাত, মুসলিম লীগ ও পাকিস্তানপন্থি অপশক্তির উচ্চারিত স্লোগান ও রাজনীতিতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সেটিই ’৭৫ পরবর্তীকালে বারবার ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরকেবার স্লোগানের মাধ্যমে উচ্চারিত হয়েছে। মূলত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতিকে হত্যা করার মতাদর্শ এতে গভীরভাবে নিহিত রয়েছে। যেসব তরুণ রাজনৈতিক নেতা বলে দাবিদার সভা সমাবেশে ’৭৫-এর হাতিয়ারের পক্ষে স্লোগান দেয় তারা মূলতই ’৭৫-এর হত্যা এবং ক্ষমতা দখলকেই সমর্থন করে, সেই মতাদর্শই তারা ধারণ করে। বাংলাদেশকে তারা পাকিস্তান এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভাবাদর্শে ’৭৫ পরবর্তীকালে যেভাবে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল সেটিই তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ। এই শিক্ষা তারা তাদের পরিবার, সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে শিখেছেন। সেটি তারা শুধু বিশ্বাসই নয় বাস্তবেও প্রয়োগ ঘটাতে তৎপর। ২০০১-০৬ সময়কালে তাদের হাতে ’৭৫-এর হাতিয়ারই ছিল। ২০০৯-১৫ সালেও সেসব হাতিয়ার নিয়ে মহড়াও দেয়া হয়েছিল। যখনি সুযোগ পেয়েছিল তখনই হত্যার চেষ্টা এবং হুমকি দেয়া হয়েছে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে সেই হাতিয়ারের হুমকিই দেয়া হয়েছে। এই হুমকি শুধু হুমকিই নয়, এটি সেই সব দল, সংগঠন এবং মতাদর্শের মানুষেরই লালিত বিশ্বাস ও মতাদর্শগত অবস্থান যা সময় ও সুযোগমতো প্রদর্শিত হবে। এটি যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান ও রাজনীতি তা বুঝতে ভুল করলে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের চরম মূল্য দিতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়