রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

ডিকাব টকে রাষ্ট্রদূত : ভালো নির্বাচনের আশায় জাপানও

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার বাংলাদেশে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে আশা জাপানের। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৮ মাস রয়েছে নির্বাচন হতে। তবে মিডিয়া এখন থেকেই তোড়জোড় সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনারা হয়তো শুনে অবাক হতে পারেন, ঢাকায় জাপান দূতাবাস ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপরই উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি প্রচার করেছিল। সেখানে মূল উদ্বেগের প্রসঙ্গ ছিল নির্বাচনকালীন সহিংসতা। প্রত্যেক নাগরিক যাতে অবাধে ভোটাধিকারের চর্চা করতে পারে, এটি জরুরি। এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
ইতো নাওকি বলেন, জাপান যে বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে ভালো ও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, তা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যাশার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে অব্যাহতভাবে তুলে ধরতে থাকব। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা জরুরি। জনগণের আকাক্সক্ষার বিষয়টি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির দেশ। আশা করি, অচিরেই বাংলাদেশের জনপ্রতি আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ আন্তর্জাতিক পরিসরে বিনিয়োগ আসার জন্য একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি অন্যতম ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কারণ এশিয়ার অন্যতম বিকাশমান অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ইপিজেড জাপানের বিনিয়োগ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ্য করেন তিনি।
ঢাকা-টোকিও সরাসরি ফ্লাইট অচিরেই চালু হওয়ার আশা প্রকাশ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো বাড়বে বলে জানান তিনি। পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশ এত বড় অবকাঠামো নির্মাণে যে সাহস দেখিয়েছে তার জন্য জাপানের বিনিয়োগকারীদের ৬০ শতাংশ এ দেশে বিনিয়োগ করতে চায় বলেও জানান তিনি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন। রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা এবং তাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের বিষয়ে আরো যতœশীল হতে হবে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই দ্রুত, সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবসন দরকার। মিয়ানমারের সামরিক সরকার অচিরেই গণতন্ত্রকামী নেতাদের মুক্ত করে গণতন্ত্রকে সচল করবে বলে আমি আশা করি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে যে কোনো বিষয়ে আলোচনা করা একটা জটিল বিষয়। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত সবাইকে একটি ছন্দে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, কিছুদিন আগে আমি ভাসানচরে থেকেছি। এখনে বাস করার আমার অভিজ্ঞতা চমৎকার। বাংলাদেশ একটি খুবই ভালো বসবাসযোগ্য স্থান নির্মাণ করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আরো বলেন, বিনিয়োগের জন্য দিন দিন অবকাঠামো ও পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশি কর্মীর জন্য জাপানের দরজা খোলা আছে। আমি আশা করি, দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক জাপানের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। করোনা মহামারির কারণে জাপান সরকারের হাতে থাকা কিছু উন্নয়ন প্রকল্প প্রলম্বিত হয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের কাজের সব খাতই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়