রাজধানীর বছিলায় জুতার কারখানায় আগুন

আগের সংবাদ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী : দেড় বিলিয়ন ডলার সহায়তা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে

পরের সংবাদ

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়বে : ড. জায়েদ বখত, বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক ঊর্ধ্বতন পরিচালক ড. জায়েদ বখত বলেছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপিত হবে। অন্য জেলার সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে, যা জিডিপিতে যুক্ত হবে। জিডিপির আকার বাড়লে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও বাড়বে। আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা পেতে পদ্মা সেতুর সঙ্গে অন্যান্য কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন।
জায়েদ বখত বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতুর প্রভাব হবে অপরিসীম। সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়কপথ ও রেলপথে যোগাযোগের সময় ৪ ঘণ্টা কমে যাবে। এতে মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, সেতুটির কারণেই প্রথমবারের মতো পুরো দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোতে চলে আসবে। দক্ষিণ বাংলায় পরিবর্তনের হাওয়া লাগবে। এ অঞ্চলের কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অনায়াসে সংযুক্ত হতে পারবেন। এ সেতুর কারণে মোংলা বন্দর গতি পাবে। এত দিন এ বন্দর তেমন একটা ব্যবহৃত হতো না। এখন যোগাযোগ গতি পেলে এই বন্দরের ব্যবহার বাড়বে। যোগাযোগ উন্নত হলে স্বাভাবিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন শিল্পায়ন হবে। সে সময় ওই সব অঞ্চলে আমদানি-রপ্তানি দুটোই বাড়বে। দ্বিতীয়ত, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে এখনো পুরোপুরি যোগাযোগ তৈরি হয়নি। তবে যোগাযোগের পথ সুগম হচ্ছে। যদিও এজন্য পদ্মা সেতু যথেষ্ট নয়, তার সঙ্গে কানেক্টিং নেটওয়ার্ক দরকার। পদ্মা সেতুর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের যোগাযোগ যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রয়োজন আমরা মেটাতে সক্ষম হব। ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। পরবর্তী সময়ে পাশাপাশি আরো দেশ যেমন- নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে। তাদেরও বন্দর সুবিধা দেয়া যাবে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধাপে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে বলে মনে করেন এ গবেষক। তিনি বলেন, একা পদ্মা সেতু বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারবে না। এজন্য আরো কিছু কাজ করতে হবে। যেমন- পদ্মা সেতু পার হয়ে অন্য অঞ্চলগুলোতে যাওয়ার যোগসূত্রগুলো ভালো করতে হবে। অন্য জেলাগুলোতে যোগাযোগের পথ ভালো করার পাশাপাশি এ যোগাযোগ সুবিধাকে অর্থনৈতিক সুবিধায় রূপান্তর করতে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্য অবকাঠামোতেও নজর দিতে হবে।
পদ্মা সেতু দিয়ে কৃষিপণ্য নিয়ে দ্রুত এসে ঢাকার প্রবেশ মুখে যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনকে আটকে থাকতে হয় তাহলে সম্পূর্ণ সুফল নেয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়