কাগজ প্রতিবেদক : আদালতের সঙ্গে প্রতারণার করায় এফএমসি ওটু কোম্পানির কাছ থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে টাকা পরিশোধের রশিদ জমা দেয়া হয়। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। কোম্পানির পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো. অজি উল্লাহ।
পরে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, এফএমসি ওটু কোম্পানিকে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় মর্মে ঘোষণা চেয়ে পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করে কোম্পানিটি। আদালত তাদের মামলাটি খারিজ করে দেন। নি¤œ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সিভিল রিভিশনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সিআইবির রিপোর্ট স্থগিত করে দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
হাইকোর্টে শুনানির ধারাবাহিকতায় গত ৩ মার্চ মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে কোম্পানিটি। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করেন। পাশাপাশি কোম্পানিকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার কারণ হিসেবে বলা হয়, কোম্পানিটি বিচারিক আদালতে আইন অনুযায়ী মামলাটি পরিচালনা করেনি। তাছাড়া ৪ বছর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের অপব্যবহার করেছে।
এরপর গত ৮ মার্চ হাইকোর্টের জরিমানার রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে কোম্পানিটি। আপিল বিভাগ জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১ কোটি জরিমানা পরিশোধ করে গতকাল আদালতে রশিদ জমা দেন কোম্পানির আইনজীবী। পরে কোম্পানির আবেদন নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ।