ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

হাজতখানায় তারেকের পিএস অপুর সঙ্গে নেতাদের বৈঠক!

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর সঙ্গে আদালতের হাজতখানার ভেতরে ১৫ নেতাকর্মীর গোপন বৈঠকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আটক অপুর সঙ্গে পুলিশের সহায়তায় অর্থের বিনিময়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতাকর্মীরা। তবে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে হাজতখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে দেখার করার জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা নেয়ার কথা বলেন বৈঠককারী বিএনপির এক কর্মী।
জানা যায়, অপুর বিরুদ্ধে দুদকের করা সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলাটি গতকাল চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সকাল ১০টার দিকে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের এজলাসে তাকে তোলা হয়। আদালত আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ৩ জুলাই চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
এরপর বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত থেকে আবার তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মিনিট দশেক পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা অপুর দেখা করার জন্য পুলিশের সঙ্গে ঘুষের দর কষাকষি শুরু করেন। একপর্যায়ে জনপ্রতি দেখা করার জন্য দুই হাজার টাকা করে চুক্তিতে সাক্ষাতের অনুমতি দেন হাজতখানার পুলিশ সদস্যরা। এরপর একের পর এক নেতাকর্মী অপুর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক করা খোকন নামে একজন জানান, অপু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে দুই হাজার টাকা করে লাগছে। তবে কনস্টেবলকে অতিরিক্ত বকশিশ হিসেবে আরো ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা দিতে হয়েছে হাজতখানার ওসিকে। তবে হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক সাদিকুল সাদিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আজ নুরউদ্দিন আহমেদ অপু নামে এক আসামির মামলা ছিল। সে হাজাতখানায় থাকাবস্থায় কোনো লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাতের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন বলেন, হাজতখানায় কোনো আসামির সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কারোরই দেখা করার সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা খুবই খারাপ হয়েছে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালতের মহিলা হাজতখানায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবকের গোপন বৈঠক করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়