কাগজ প্রতিবেদক : ব্যবসায়ী সফিউর রহমানকে ঋণসংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন এবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এভিপি কে এম আমিনুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা ব্র্যাঞ্চের ম্যানেজার মো. সহিদুজ্জামান। গতকাল রবিবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনার লিখিত আবেদন দাখিল করা হয়েছে। তাদের আইনজীবী আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ মে এবি ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গুলশান ও সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৫ জুন তাদের আদালতে হাজির করতে বলা হয়। এই আদেশের পর গত বৃহস্পতিবার তারা স্বেচ্ছায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন। ৩১ মে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী বলেছিলেন, সাতক্ষীরার সফি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সফিউর রহমান এবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের বিপরীতে তিনি একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চান। কিন্তু এবি ব্যাংক থেকে তাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে সফিউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। রিট শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্ট আমাকে এবি ব্যাংকের হেড অফিসে ও সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি আদালতের আদেশের কথা জানিয়ে তাদের ব্যবসায়ী সফিউর রহমানকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ার কথা বলি। এছাড়া এভিপি আমিনুল ইসলামকে কোর্টে হাজির থাকার কথা বলেছিলাম। রিটকারী ৩০ মে এবি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখায় গিয়েছিলেন স্টেটমেন্ট আনতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। আদালতের আদেশের পরও ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দেয়ায় তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়।