ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : দেশে খাদ্যের চরম অভাব এখন আর নেই

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : দেশে একসময় খাদ্যের চরম অভাব ছিল কিন্তু এখন সেই অভাব আর নেই বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গতকাল রবিবার রাজধানীতে এক বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় দুটি পৃথক অধিবেশনের মধ্যে ‘জাতীয় আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ও বাজেট জনপ্রত্যাশা’ শিরোনামে প্রথম অধিবেশন এবং ‘জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সর্বজনীন কৌশল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা’ শিরোনামে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের আবাসিক প্রতিনিধি কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ। বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সহসভাপতি আমানুর রহমান। মন্ত্রী বলেন, দেশে একসময় ভয়াবহ দরিদ্রতা ছিল। আমি নিজে দরিদ্রতা দেখেছি। না খেয়ে থাকা মানুষের আহাজারি শুনেছি। কিন্তু এখন মানুষ না খেয়ে মরছে না। মানুষ এখন খেতে পারছে। বর্তমান সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুও কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। এখনো তিনি কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার কৃষির পাশাপাশি শিল্পায়নকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এর অবদান একা কারো নয়। একজন সাধারণ পোশাক শ্রমিকও এর কৃতিত্ব পাবে। স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক ডা. রশীদ-ই মাহবুবের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামছুল আলম এবারে বাজেটে সুরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়বে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘বাজেটে দুস্থ-বেকার ভাতা চালু করা হবে। সারাজীবন যাতে সেই সহায়তা দেয়া যায় সে চেষ্টা করা হবে। বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সামাজিক সুরক্ষা খাতে এবার ব্যয় বাড়বে। এক কোটি লোককে ন্যূনতম মূল্যে খাদ্য সহায়তার পরিবর্তে দেড় কোটি লোককে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশের যে বাজেট তাকে গণমুখী বা মালিক পক্ষের বলার সুযোগ নেই। দেশের এক কোটি লোককে দক্ষ করতে একটি মেগা প্রজেক্ট প্রয়োজন।
সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, সংসদে বাজেট নিয়ে যে আলোচনা হয় সেখানে আমাদের অবদান রাখার মতো কিছু থাকে না।
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সহ-সভাপ্রধান আসগর আলীর সঞ্চালনায় দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের যুগ্ম-সম্পাদক সেকান্দার আলী মিনা এবং সহসভাপতি আমানুর রহমান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়