ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

সুইজারল্যান্ডে আইএলও কনফারেন্স : মিরপুরে সড়কে পোশাক শ্রমিকদের ফের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক আটকে বিক্ষোভে করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে তারা বিক্ষোভ করে আসছেন। তারা মিরপুরের রূপনগর, সাড়ে ১০ নম্বরসহ কয়েকটি এলাকায় বেশ কয়েকটি গার্মেন্টেস ভাঙচুর করে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এবং শনিবার তারা একই দাবিতে মিরপুরে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি, বেতন বাড়াতে হবে, না হয় নিত্যপণ্য্যের দাম কমাতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুর ২টায় বিজয় নগরের শ্রম ভবনে এ নিয়ে বৈঠক হয়।
মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, সুইজারল্যান্ডে আইএলওর একটি কনফারেন্স চলছে। ২৭ মে এই কনফারেন্স শুরু হয়েছে। শেষ হবে ১৩ জুন।
এর মধ্যে পোশাক শ্রমিকরা বেতন ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলে রাস্তায় নেমেছে। দুপুরে তারা রাস্তা ছেড়েছে। শ্রমিকরা ফের যে কোনো সময় রাস্তায় নামতে পারে।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, গত শনিবার বিকালে শ্রমিকরা বিজিবির একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া ইনডোর স্টেডিয়ামেরও ক্ষতি করছিল। পরে বিকালে পুলিশের ধাওয়ায় তারা সড়ক ছাড়ে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা রাস্তা ছেড়েছে। তবে যে কোনো সময় তারা আবার রাস্তায় নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) ইলিয়াস হোসেন গতকাল জানান, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মিরপুর ১০, ১১, ১৩ ও ১৪ নম্বর সড়ক দখলে নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।
মিরপুর এলাকার বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক সকালে রাস্তায় নামলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকল্প সড়ক দিয়ে যানচলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও যানজট তৈরি হয়। রাস্তায় বের হওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। শ্রমিকদের দাবি, তারা মালিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য বারবার তাগাদা দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি বলে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে সকালে উত্তরায় বাসা থেকে মিরপুর হয়ে আগারগাঁও যাওয়ার পথে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনরত শ্রমিকরা। ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ পরিচালক) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরসহ অনেকের গাড়ি আটকে রাখায় কয়েকশ মানুষ সেখানে দুর্ভোগে পড়েন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়