প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন মিরসরাইয়ের শাহাদাত হোসেন (২৫)। তিনি পেশায় একজন লরিচালক ছিলেন। গত শনিবার লরি নিয়ে ডিপোতে প্রবেশের পর গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
শাহাদাত উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার ননাই মিয়া মীর বাড়ির মৃত শাহ আলমের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লরি চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীনুর হোসেন বলেন, শাহাদাত আমার চাচাতো ভাই। গত শনিবার লরিতে মালামাল লোড করতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে অবস্থিত বিএম ডিপোতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ডিপোতে বিস্ফোরণের খবর পাই। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ ছিল। রবিবার সকালে ডিপোতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৯নং ওয়ার্ডে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে শাহাদাত বড়। ছোট ভাই আমজাদ হোসেন জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
নিহত শাহাদাতের প্রতিবেশী মুহাম্মদ হাসান বলেন, দুর্ঘটনার পর শাহাদাত নিখোঁজ হয়। এরপর সবাই তাকে পাগলের মতো খোঁজ করেও পাইনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর হাসপাতালে তার মরদেহ রয়েছে বলে খবর আসে। এরপর তার লাশ আনতে আমরা দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। তবে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লাশ হাসপাতাল থেকে বের করা যায়নি।
এদিকে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে শাহাদাতের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে আমার ইউনিয়নের শাহাদাত নামে যুবক নিহত হয়েছে। শাহাদাতসহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।