ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

বাউফল-ভোলা ফেরি চালু হলে খুলে যাবে উন্নয়নের দুয়ার

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফল-ভোলা ফেরি সার্ভিস চালু হলেই খুলে যেতে পারে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার। দক্ষিণাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের মধ্যে আন্তঃসড়ক ও নৌ যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য এই প্রকল্পের প্রাথমিক ধারণা নেয়ার জন্য বাউফল-ভোলা ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে খুলে যেতে পারে আরেকটি দুয়ার। এ খবরে বাউফলসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
প্রকল্পের ধারণা নেয়ার জন্য গত ২ জুন বাউফলের কালাইয়া-চন্দ্রদ্বীপ ও ভোলার লালমোহনের নাজিরপুরের মধ্যে তেঁতুলিয়া নদীতে ফেরি সংযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, পটুয়াখালীর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন, বাউফল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান। এ সময় তাদের সঙ্গে আরো ছিলেন সূর্যমণি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস. এম ফয়সাল আহম্মেদ এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে আ স ম ফিরোজ গণমাধ্যমকে জানান, বাউফলের কালাইয়া এবং ভোলার নাজিরপুর পয়েন্টে ফেরি সার্ভিস চালু করতে পারলে তিনটি সমুদ্রবন্দরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নৌ ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। তিনটি বন্দরের মালামাল পরিবহনে খরচ এবং সময় অনেকটাই কমে যাবে। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানের। এছাড়াও ভোলা ও পটুয়াখালীর মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার যে ভোগান্তি রয়েছে সেটাও অবসান হবে।
স্থানীয়রা জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে নৌযানগুলো বাউফলের তেঁতুলিয়া নদী হয়ে যাতায়াত করলে অধিকতর কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। কারণ যাতায়াতের অন্যান্য নৌপথ থেকে তেঁতুলিয়া নদী রুটে নাব্য অনেক বেশি এবং পথও কম। ফলে ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনে খরচ কমে যাবে। সেক্ষেত্রে চাঁদপুরের মতো চন্দ্রদ্বীপ অথবা কালাইয়া একটি মধ্যবর্তী বিশ্রাম পোর্ট বা বন্দর হতে পারে। এই মধ্যবর্তী পোর্ট বা বন্দর থেকে নৌ কিংবা সড়ক পথে দেশের যে কোনো প্রান্তে এমনকি বহির্বিশ্বেও মালামাল পরিবহন করা যাবে। দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরের মধ্যেও আন্তঃযোগাযোগ স্থাপন হবে। এক্ষেত্রে শুধু কালাইয়া-নাজিরপুরের মধ্যে একটি ফেরি রুট স্থাপন করলেই সিংহভাগ অগ্রগতি হয়ে যায়। এই রুটকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন শিল্প কারখানা। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান।
পটুয়াখালী জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানান, ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়