ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর উপহার : কালীগঞ্জে জমিসহ ঘর পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) থেকে : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২২৫টি ঘর। জমিসহ আধা-পাকা এসব ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া পরিবারগুলো জানিয়েছে, তারা কোনোদিন ভাবেনি মাথা গোঁজার মতো নিজেদের একটি স্থায়ী ঠিকানা হবে। আগে খুব কষ্টে থাকলেও এখন তাদের আর কোনো কষ্ট নেই। এক সময় বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে খুব কষ্ট করতে হয়েছে, এখন আরামে থাকতে পারছে। তাদের আর কোনো চিন্তা নেই। ঘর পেয়ে তারা খুবই খুশি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা। বিনা পয়সায় এ রকম

সুন্দর ঘর করে দেয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করছে পরিবারগুলো।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়াদের মধ্যে একজন হলেন প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান। তার ২টি হাত নেই। স্ত্রী ও চার ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতেন অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে। এবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ পেয়ে চোখেমুখে খুশির ঝিলিক দেখা গেছে তার। জানতে চাইলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী দুই হাত উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে বলেন, চার ছেলেমেয়ে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছিলাম। কাজ করছি অন্যের বাড়িতে। টাকা-পয়সার অভাবে ঘর করতে পারিনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে থাকছি। ভবিষ্যতে আর কষ্ট হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুব খুশি ভিক্ষুক মহিমাও। অভাবের সংসার। পাঁচ সন্তানের জননী মহিমা ভিক্ষা করে সংসার চালান। কোনো জায়গা-জমি নেই। আগে অন্যের বাড়িতে থাকতেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুব খুশি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আহমেদ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কালীগঞ্জে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৪০০ ও তৃতীয় ধাপে ২২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে আধা-পাকা টিনের ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ খাস জমি দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে মোট ২২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত ঘরগুলোর বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট। প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২২৫টি ঘর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন আমরা উপকারভোগীদের জমির কবুলত রেজিস্ট্রেশনসহ হস্তান্তর করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়