ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারে আদালতে গোয়েন্দারা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পাকিস্তানে আর্থিক তছরুপের দায়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়েছে সেদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ রাখার অভিযোগে ২০২০ সালে শাহবাজ শরিফ ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার জেরে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চাইছে সেদেশের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সুলেমান শাহবাজ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় তারা। এ জন্য গত শনিবার পাক আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
যদিও শাহবাজ শরিফ আদালতে দাবি করেন তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। তিনি ১০ বছর ধরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সেই বেতনটুকুও কোনো দিন নেননি। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন তিনি। সদ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা শাহবাজের বিরুদ্ধে এফআইএর অভিযোগ, কয়েকশ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে। ওই দিন বিশাল নিরাপত্তা নিয়ে পাকিস্তানের বিশেষ আদালতে হাজির হন পাক প্রধানমন্ত্রী এবং পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ভরা একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দেন এফআইয়ের আইনজীবী। তিনি আদালতে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে যে বিশাল অঙ্কের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে, সেই তদন্তের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া প্রয়োজন। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী বা তার ছেলে, কেউই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীর কৌঁসুলি আমজাদ পারভেজের তীব্র বিরোধিতা করেন। দেশের তদন্তকারী সংস্থাকেই ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, এফআইএ মানে ‘ফলস অ্যাসারশন অফ দ্য এজেন্সি’ (ভুয়ো দাবি-দাওয়ার সংস্থা)। তার দাবি, লাহোরের জেলে থাকার সময় বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা।
শুধু জেলে থাকার সময়ই নয়, পরে এফআইএর তলবে তাদের অফিসেও যান শাহবাজ ও তার ছেলে। প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, এই আর্থিক তছরুপের মামলা ঝুলে রয়েছে প্রায় দেড় বছর। প্রধানমন্ত্রী বা তার ছেলের কাছ থেকে নতুন করে আর কোনো তথ্যই পাওয়ার নেই এফআইএর।

দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর আগামী ১১ জুন পর্যন্ত মামলা মুলতুবি রেখেছে আদালত। আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা দায়ের হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। তার আগে, ২০১৯ সালেই পাকিস্তান ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান পাক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সুলেমান শাহবাজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়