ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

ধুনটে এনজিও গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনটে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমা রাখা টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এমডিকে এনজিও কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে ধুনট শহরের উত্তর অফিসারপাড়ায় এনজিও কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পারুলকান্দি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের আশ্বাসে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে বিকাল ৫টার দিকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে বগুড়া বনানী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন শাহ আলী।
জানা গেছে, শাহ আলী ২০১০ সালে প্রাপ্তি সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি নামে একটি এনজিও গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে পল্লী গ্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন করে নেন। তিনি ধুনট শহরের উত্তর অফিসারপাড়ায় নিজস্ব বাসায় এনজিও কার্যক্রম চালাতে থাকেন। ওই এনজিওতে ৩০ জন শেয়ারহোল্ডার সদস্য, ১০ জন ডিপিএস এবং ২৫০ জন সাধারণ সঞ্চয় ও ঋণের সদস্য রয়েছেন।
শাহ আলী এসব গ্রাহকের কাছ থেকে আট বছরে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেন চলেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে হঠাৎ করেই এনজিওর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শাহ আলী। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রায় ২৮০ জন গ্রাহক। গতকাল রবিবার দুপুরে শাহ আলী গোপনে ওই এনজিও কার্যালয়ে এলে গ্রাহকরা টের পেয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সমিতির শেয়ারহোল্ডার সদস্য পারুলকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন রিকশাচালক। ছয় বছর ধরে তিনি এ এনজিওতে টাকা জমা রাখেন। তিনি এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা করেছেন। গত ছয় মাস ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছেন না। এখন তারা মূল টাকা ফেরত নিতে এসেছেন।
একই গ্রামের হাসারানী জানান, তার ছেলে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। সেই টাকা এনজিওতে জমা রেখেছেন। ছয় মাস পর রবিবার অফিসে আসার খবর পেয়ে তিনি টাকা ফেরত নিতে এসেছেন।
এছাড়া একই এলাকার ববিতা খাতুন, আতাউর রহমান, চাদনী আক্তার ও খোদেজা খাতুনসহ শতাধিক গ্রাহক তাদের জমা রাখা টাকা ফেরত নিতে এসেছেন।
এ বিষয়ে এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলী জানান, করোনার কারণে গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করতে না পারায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহককে তাদের জমা রাখা টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। গ্রাহকের দাবির মুখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে তাদের শান্ত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়