ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

চড়া বাজারে এবার বাড়ল আবাসিকের গ্যাসের দাম : এক চুলা ৯৯০, দুই চুলা ১০৮০ টাকা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই এবার বাড়ানো হলো গ্যাসের দাম। আবাসিকে গ্রাহকের এক চুলার জন্য ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলার মসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আর প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটের খরচ ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা। তবে বাড়ানো হয়নি সিএনজির দাম।
গতকাল রবিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মকবুল-ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে আবু ফারুক বলেন, কমিশন আইনের ৩৪-এর ৬ ধারা অনুযায়ী পেট্রোবাংলার পাশাপাশি বিতরণ এবং সঞ্চালন কোম্পানিগুলো গত জানুয়ারির প্রথম দিকে আবেদন করে। গত ২১-২৪ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি সব ধরনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে। কমিশন আইনের ধারা ২২(খ) এবং ধারা ৩৪ অনুযায়ী গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ল গ্যাসের দাম।
গ্রাহক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৯ টাকা ৭০

পয়সা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ ভাগ বৃদ্ধি করে প্রতি ঘনমিটার ১১ টাকা ৯১ পয়সা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মার্চ গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গণশুনানি হয়। বিরতণ কোম্পানিগুলো তখন গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ অর্থাৎ এক চুলা ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা এবং দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করে। এর বিপরীতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা এবং এক চুলা ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল।
আবু ফারুক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই খাতে ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঘাটতি হবে। এই টাকার মধ্যে সরকার ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসাবে বাজেটে দেবে। অন্যদিকে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল এবং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেয়া হবে।
আবাসিকের প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহকদের দ্রুত রিচার্জ করে জুন মাসের আপডেট করে নিতে হবে বলে মকবুল-ই ইলাহি জানান। আর মিটারবিহীনরা জুনের শেষে এই আদেশ অনুযায়ী বিল পরিশোধ করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়