ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি : ব্যবসায়ী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে গ্যাসের দাম বাড়ানোকে যৌক্তিক বলেছে এফবিসিসিআই। দাম বাড়ানোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রবিবার এসব কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
দেশে গ্যাসের দাম যৌক্তিকপর্যায়ে রাখার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই মনে করে, দেশের সব ধরনের শিল্প খাতের সক্ষমতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশ্বাস করেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের শিল্পায়নকে আরো ত্বরান্বিত ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে।
নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। সঙ্গে বাড়বে পরিবহন ব্যয়ও। ফলে বাড়তি দামে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের পোশাক খাত। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, কিছু দিন আগে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন ছিল, নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো না হয়। কারণ এখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। পোশাক খাতের আরেকটি সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শিল্প উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ-ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিটের নতুন দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা, মাঝারি শিল্পে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে করা হয়েছে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা। যেটা বেড়েছে আপাতত দৃষ্টিতে সেটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে বাস্তবায়নের তারিখ জুন থেকে না দিয়ে আগামী ছয় মাস পর দিলে ভালো হতো। কারণ আমাদের কাছে আগামী ছয় মাসের কাজের অর্ডার চলে এসেছে। এখন অর্ডারগুলো বাস্তবায়নে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বাড়তি মূল্য তো ধরা হয়নি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘন মিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। সিএনজির দাম ৪৩ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাসের ট্যারিফ ১৬ টাকার প্রস্তাবে অভিনন্দন- বিটিএমএ : জেনারেটর থেকে নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ পাওয়ার) উৎপাদনে গ্যাসের ট্যারিফ বা কর বিদ্যমান প্রতি কিউবিক মিটার ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। এ প্রস্তাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিটিএমএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়