ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতির মুখে ১০ হাজার খামারি : কুরবানি ঈদে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফরিদপুর শহর প্রতিনিধি : গোখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার খামারি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দুধ উৎপাদন ও পশু মোটাতাজাকরণে ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে খামারিরা। এতে কুরবানি ঈদে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার ডেইরি ও মোটাতাজাকরণ খামার রয়েছে। এসব খামারে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক পশু লালন পালন হচ্ছে। হঠাৎ করে সবধরনের গোখাদ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা তাজাকরণে বিনিয়োগ করা অর্থ লোকসানে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এছাড়া দুধ উৎপাদনের খরচ অনেকটা বেড়ে গেলেও দুধের দাম বাড়েনি। খামারিরা এখন সঠিকভাবে খামারের গরুগুলোকে খাওয়াতে পারছে না। ফলে খাদ্যের অভাবে গরুগুলোর ওজন কমে রোগা হয়ে যাচ্ছে। দাম বেড়েছে গমের ভুষি, ফিড, ছোলার ভুষি, ভুট্টা, খড়সহ বিভিন্ন গোখাদ্যের। এসবের দাম হঠাৎ বস্তা প্রতি ৩শ-৮শ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
গরুর খামারের মালিকরা জানান, গত দুই বছরে করোনার কারণে আমরা গরুর খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম এ বছর আমরা কিছুটা লাভবান হবো। গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। কিন্তু হঠাৎ করে গোখাদ্যের দাম এতটা বেড়েছে যে আমাদের গরুগুলোকে কোনোরকম খাইয়ে জীবিত রাখাই আমাদের জন্য দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা ধারদেনা করে খামার করছি। গমের ভুষির দাম আগে ছিল ১১শ-১২শ টাকার মধ্যে, সেটাই এখন ২ হাজার টাকা হয়ে গেছে। ছোলা ভুষি আগে কিনতাম সর্বোচ্চ ১২শ টাকা সেটাও এখন ১৮শ-১৯শ টাকা হয়ে গেছে। ডাবরি ভুষি আগে কিনতাম সাড়ে ৮শ টাকা সেটা এখন বেড়ে ১১শ টাকা হয়েছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা গরুগুলোকে পর্যাপ্ত খাবার দিতে পারছি না। ফলে গরু ওজন নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ফলে আসন্ন কুরবানিতে ভালো দামও পাওয়া যাবে না। সরকারের কাছে একটাই দাবি, তারা যেন এই গোখাদ্যের দামের দিকে নজর দেন। যদি দাম কমান তাহলে খামারিরা বাঁচবে, খামারগুলোও চালু থাকবে। ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ্ মো. আহসান জানান, আসন্ন কুরবানি উপলক্ষে আমাদের খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও গরু প্রস্তুত করছেন।
এছাড়া আমাদের ফরিদপুরে প্রায় ১০ হাজারের মতো খামারি আছে, তারা দুধ ও বাছুর উৎপাদন করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আকস্মিকভাবে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এটা আমরা স্বীকার করছি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আমরা খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি বেশি করে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য। যদি কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়ায় এবং দানাদার খাবার কম খাওয়ায় তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে আসবে, দুধ কম হবেনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়