ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

কন্টেইনার ডিপোতে আগুন : সীতাকুণ্ডের ঘটনায় চার তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ এই চারটি কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কমিটিকে পাঁচ দিন, বন্দর কর্তৃপক্ষের কমিটিকে তিন দিন এবং বাকি দুই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিমকে প্রধান এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে তাদের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক বদিউল আলমকে। এ কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম। তিনি জানান, কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার শফিউদ্দিনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান, সালাহউদ্দিন রিজভী, সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা ও রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ দাশ। আর বন্দর কর্তৃপক্ষের তিন সদস্যের কমিটিতে আছেন টার্মিনাল ম্যানেজার, ডেপুটি ডিরেক্টর ও কাস্টম ডিসি। তাদের তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাজাহান গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বন্দর থেকে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। অনিয়ম ছিল কিনা তা তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান করে বলবে, নিরাপত্তায় বা অগ্নি নির্বাপণে কোনো ঘাটতি ছিল কিনা। বিস্ফোরণের কারণে আগুন ছড়িয়ে গেছে। শুরুতেই যদি সাহসিকতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যেত তাহলে এত ব্যাপক হতো না।’
সীতাকুণ্ডে কদমরসুল এলাকায় ওই বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনালে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগে। সেখানে রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।
ডিপোতে রাসায়নিক থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিছুর জানান। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কেমিকেল বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের ১৪ জনের একটি দল ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়