ডিএমপি কমিশনার : জীবনে সফলতার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই

আগের সংবাদ

বিপজ্জনক জেনেও সংরক্ষণে ত্রæটি

পরের সংবাদ

ইতালি-জার্মানি পয়েন্ট ভাগাভাগি

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা নেশন্স লিগে, লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ তিনে ইতালি-জার্মানির ম্যাচ ড্র হলেও ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৬২ সালের পর তারা প্রথম হেরেছে হাঙ্গেরির বিপক্ষে। ১-০ গোলে হার দিয়েই তাই নেশন্স লিগের মিশন শুরু করতে হলো ইউরোর ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডকে। জয়ের পর হাঙ্গেরি রয়েছে এ গ্রুপের শীর্ষস্থানে। আগামী মঙ্গলবার হাঙ্গেরি পরের ম্যাচে ইতালির মাঠে তাদের মুখোমুখি হবে এবং জার্মানির মাঠে খেলবে ইংল্যান্ড।
আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের বাছাইপর্বে বেনিনকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সেনেগাল। সেনেগালের তিনটি গোলই এসেছে সাদিও মানের পা থেকে। ম্যাচের ১২ ও ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দুটি গোলের সঙ্গে ২২ মিনিটে নাম্পালাইস মেন্দির পাস থেকে দারুণ একটি গোল করেন এ লিভারপুল ফরোয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটিই তার প্রথম হ্যাটট্রিক। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০ বছর আগে অভিষেক হওয়া ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করে আরো একটি রেকর্ডও ছুঁয়েছেন তিনি। সেনেগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখন এই ফরোয়ার্ডের। ৯০ ম্যাচে ৩২ গোল করে ছাড়িয়ে গেছেন ৯৯ ম্যাচে ২৯ গোল করা উইগান অ্যাথলেটিকসের সাবেক স্ট্রাইকার হেনরি কামারাওকে।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে পুসকাস অ্যারেনা থেকে যে হার নিয়ে ফিরতে হবে এমনটা হয়তো আশা করেনি ইংল্যান্ড। কেননা ১৯৬২ সালের পর থেকে হাঙ্গেরির বিপক্ষে কখনো হারেনি। উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ১-০ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে হাঙ্গেরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের জয় এসেছে পেনাল্টি থেকে পাওয়া একমাত্র গোলে। হাঙ্গেরির হয়ে গোলটি করেন ডমিনিক জবোস্লাই।
অন্যদিকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ইতালির জায়গা হয়নি কাতার বিশ্বকাপে। সর্বশেষ ম্যাচে ফিনালিসিমার ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে। এবার তাদের সামনে নেশন্স লিগটাই শুধু বাকি। তবে ঘরের মাঠে নেশন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি ইতালি। জার্মানির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র দিয়েই শুরু হয় তাদের এ লিগের মিশন। ১৫ দিনে মধ্যে পাঁচটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার মানসিকতা নিয়েই বেশ বড় একটি স্কোয়াড ঘোষণা করেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। যে কারণে ফিনালিসিমায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের পর সেই ম্যাচের ১০ জনকেই নামাননি এ ম্যাচের প্রথম একাদশে। নতুনদের নিয়ে সাজানো স্কোয়াড নিয়ে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় ঠিকভাবেই উতরে গেলেন মানচিনি। তার শিষ্যরা তাকে হতাশ করেনি। পূর্ণ শক্তির জার্মানির সঙ্গে তারা পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই ফিরেছে। ম্যাচের শুরু থেকেই জার্মানির আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইতালি। জানলুকা স্কামাক্কার দূর থেকে নেয়া নিচু শট পোস্টে বাধা পাওয়ায় তাদের আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি। প্রথমার্ধের শুরুতে ছন্দহীন থাকলেও শেষ দিকে ইতালির আক্রমণে ধার বেড়ে যায়, কিন্তু গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের ছয় গজ বক্সে বাড়ানো ক্রসে টোকায় বল জালে পাঠিয়ে ইতালিকে এগিয়ে নেন লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি। এর তিন মিনিট পরই ম্যাচের ৭৩ মিনিটে জার্মানির একটি আক্রমণ ডি-বক্সে কয়েকবারের চেষ্টায়ও ইতালি বিপদমুক্ত করতে না পারলে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়োশুয়া কিমিখ। কিমিখের গোলেই ১-১ সমতা নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে ম্যাচ শেষ করে ইতালি-জার্মানি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়