পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

১১ ডাকাত গ্রেপ্তার : ঈদে মহাসড়কে বাড়তি নজরদারি রাখবে র‌্যাব

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আর মাসখানেক পরেই কুরবানির ঈদ। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ উৎসবকে ঘিরে মহাসড়কে ডাকাত, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি কুরবানির পশু ট্রাক থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে তারা। বরাবরের মতো এসব বিষয় মাথা রেখেই আসন্ন কুরবানির ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে চুরি-ছিনতাই ও চাঁদাবাজি রোধে বাড়তি নজরদারি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে র‌্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গত শুক্রবার আন্তঃজেলা ডাকাতচক্র ‘ঠাণ্ডা-শামীম’ বাহিনীর ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩ এর একটি ইউনিট। তারা হলো- আনিসুর রহমান ওরফে ঠাণ্ডা (৪৫), শামীম ওরফে সব্দুল (৩০), জাহাঙ্গীর সরকার (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩৫), জীবন সরকার (৩৪), ইখতিয়ার উদ্দিন (৩১), মাধব চন্দ্র সরকার (২৬), সজিব ইসলাম (২৫), সালাউদ্দিন (২৩), স্বপন চন্দ্র রায় (২১) ও মিনহাজুর ইসলাম (২০)। শুক্রবার সাভারের বালিয়ারপুর মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোজার ঈদের আগেও ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০০ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ১১ ডাকাতকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংস্থাটির লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ঠাণ্ডা-শামীম বাহিনীর হোতা শামীম ওরফে সব্দুল ও সেকেন্ড-ইন কমান্ড আনিসুর ওরফে ঠাণ্ডা। এই বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। তারা গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাত্রীবাহী বাস, গরু ও মালবাহী ট্রাক এবং বিভিন্ন মালামালের গুদামে ডাকাতি করে আসছিল। ঠাণ্ডা-শামীম বাহিনীর সদস্যরা অন্ধকার রাস্তায় ওঁৎ পেতে থাকত। পূর্বপরিকল্পিত নির্ধারিত স্থানে অপেক্ষায় থেকে ডাকাত দলের সদস্যরা টার্গেট করা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস সম্পর্কে সংকেত দিত। সংকেত পাওয়ামাত্রই ডাকাত দলের মধ্যে গাছ কাটার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা দ্রুত গাছ রাস্তায় ফেলে দিত।
অন্যদিকে অপর সদস্যরা গাড়ির চালক ও যাত্রীদের অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নিত। যেখানে গাছ কাটার সুযোগ নেই সেখানে তারা চালকের চোখে আলো ফেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাতি করত। এসব ডাকাতির ঘটনায় শামীম ও আনিসুর একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছে।
র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, জেলহাজতে থাকার সময় তাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে জামিনে বের হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলে। তাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। এছাড়া তারা যে এলাকায় ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে ওই এলাকার স্থানীয় অপরাধী ডাকাত-মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও পরিবহন শ্রমিক, গোডাউনের কর্মচারী ও নৈশপ্রহরীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকে।
তিনি বলেন, আটক সালাউদ্দিন ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সার্বিক বিচার-বিবেচনা করে আনিসুর, শামীম এবং সালাউদ্দিন একত্রে বসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ডাকাতির জন্য নির্ধারিত স্থানে সালাউদ্দিন আগেই অবস্থান করে তথ্য সংগ্রহ করে। ডাকাতি শেষে নির্বিঘেœ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার বিষয়ে ঠাণ্ডা-শামীমের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়