পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ : বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে সন্ত্রাসী-খুনিদের

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা; যখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে, তখন তারা আবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের প্রতিহত করতে হবে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে মিছিল করবে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সন্ত্রাসী আর খুনিদের উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।
গতকাল শনিবার ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা এসব কথা বলেন। এদিন রাজধানীতে আলাদা আলাদা কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো।
কৃষক লীগ : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল করে কৃষক লীগ। এতে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছিল হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। তাদের হাতে কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, কৃষকবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী ষড়যন্ত্রই তাদের মূল লক্ষ্য। তিনি সেøাগান তুলে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডই বাঙালি জাতিকে প্রতিবাদী করে তুলেছিল। তিনি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মুখ সামলিয়ে কথা বলুন, সংযত থাকুন।
কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিদেশী প্রভুদের সহায়তায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। বাংলার কৃষক সমাজ ঘরে বসে থাকবে না। সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, ছাত্রদল নেতা জুয়েলকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাব থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন-জিপিও মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে তারেক রহমানসহ কয়েকজন বিএনপি নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ : বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর বাকি আছে, এ সময় যে কোনোভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যম তারা হয় শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে চায়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের অতন্ত্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর ও ২১ আগস্টের খুনিরা এখন অভিন্ন শক্তি। এই খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপিকে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে মিছিল করবে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সন্ত্রাসী-খুনিদের উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট কাজী নজিবুলাহ হিরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, সহসভাপতি শামীম শাহরিয়ার, সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগ : বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। এ সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়