পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

যতœ থাকুক নতুন মা

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সন্তান গর্ভে ধারণের সময় থেকেই নানা পরিবর্তন আসে হবু মায়ের শরীরে। অনাগত সন্তানের কথা ভেবে সব পরিবর্তন মেনে নেন মা। গর্ভাবস্থায় ত্বক আর চুল নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়, প্রয়োজন পড়ে যতেœর। এসবই মায়ের সুস্থতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শুধু শারীরিক যতœই নয়, এ সময় চাই মানসিক সুস্থতাও। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আরামদায়ক, সুতি ও ঢিলেঢালা কাটের পোশাক পরা উচিত। সঠিক মাপের এবং উচু হিল এড়িয়ে নরম জুতা পরতে হবে।

রক্তস্বল্পতা যেন না হয়
গর্ভাবস্থায় মায়েদের হিমোগেøাবিনের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতা। তাই এই সময়ে গর্ভবতী মায়েদের লৌহসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারও বেশি দিতে হবে, কারণ ক্যালরির প্রয়োজন বেশি থাকে। এই ক্যালরি বাড়ানো উচিত প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার থেকে। কারণ, প্রোটিনযুক্ত খাবার দিয়েই ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে থাকে।

চিকিৎসকের পরামর্শ কখন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অবশ্যই কমপক্ষে চারবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই চারবার হচ্ছে যথাক্রমে ১৬, ২৮, ৩২ ও ৩৬ সপ্তাহে।
তবে, সম্ভব হলে প্রতি মাসেই একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
আর কারও যদি জটিলতা থাকে, তাকে যখন সমস্যা দেখা দেবে তখনই পরামর্শ নিতে হবে।

পরিকল্পিত গর্ভধারণ
পরিকল্পিতভাবে সন্তান নেওয়া গেলে তা মা ও শিশু দুজনের জন্যই নিরাপদ। যেমন সন্তান ধারণের আগে মায়ের শরীরের কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদ্?রোগ, উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করে নিতে হবে। বংশগত কোনো রোগ থাকলে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ত্বক ফাটা ও কালচে দাগ রোধে
শরীর স্ফীত হওয়ার সময় ত্বকে কিছু দাগ পড়তে পারে। একবার এমন দাগ হয়ে গেলে তা দূর করা মুশকিল। তাই গর্ভধারণের শুরু থেকেই লিপিড রেপ্লিনিশিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। স্ট্রেচ মার্ক ক্রিমও ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া নারকেল তেল, জলপাই তেল, কোকো বাটার ব্যবহার করতে পারেন। যেটিই বেছে নিন না কেন, তা মালিশ করুন চক্রাকার গতিতে, গোসলের পরে আর রাতে ঘুমানোর আগে পেট, ঊরু ও কোমরে।
ত্বকের কালচে বা বাদামি ছোপ
মুখ, গলা, ঘাড়ের ত্বকে এমন ছোপ হতেই পারে।
এটা স্বাভাবিক। সাধারণত সন্তানের জন্মের ২-৩ মাসের মধ্যে এ দাগ চলে যায়। তবে এই সময়ের মধ্যে তা না গেলে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। গর্ভাবস্থায় দাগ কমাতে সপ্তাহে ১-২ দিন ২ টেবিল চামচ শসার রস আর মুলতানি মাটির মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে পারেন ত্বকের ছোপযুক্ত স্থানে। শুকিয়ে গেলে এক মগ পানিতে ছোট একটা লেবুর রস চিপড়ে নিয়ে সেই পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

যতেœ থাক হবু মা
পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি, বিশ্রাম এবং আপনার জন্য উপযোগী ব্যায়ামের (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী) পাশাপাশি নিশ্চিত করুন খানিক যতœ। ঘটা করে রূপচর্চা করার অবস্থায় থাকেন না অনেকেই। বাড়িতেই নিজের একটু যতœ নিন, ত্বক-চুল সুস্থ থাকবে, মনও থাকবে সতেজ।

সাবধানী হোন শেষ তিন মাসে
গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দীর্ঘ ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। উঁচু-নিচু পথ কিংবা ঝাঁকির আশঙ্কা আছে, এমন যানবাহনে ভ্রমণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মনে রাখবেন শেষ তিন মাসে গর্ভের শিশু খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে।
এ সময় অনেক গর্ভবতী মায়ের পায়ে পানি আসতে পারে। পেট বড় হওয়ার জন্য মৃদু শ্বাসকষ্ট, অ্যাসিডিটির কষ্ট, স্তন থেকে কিছু তরল পদার্থ নিঃসৃত হতে পারে। এগুলো গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাকে এসব বুঝিয়ে বলতে হবে। এই সময়ে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, এমন কিছু ঘটলে, যেমন অস্বাভাবিক পেট বড় বা ছোট হওয়া, হঠাৎ রক্ত ভাঙা, খুব বেশি জ্বর আসা, রক্তচাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়া এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসককের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনী প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষাও করতে হবে।

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ছবি কৃতজ্ঞতা : পরীমনি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়