পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

নেপথ্যে দিদারুল! : বিএনপি নেতা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেককে। গত নভেম্বরে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হলেও বিষয়টি জানা যায় কয়েক দিন আগে। দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলমের সুপারিশে বিএনপি নেতা আব্দুল মালেককে কর্ণফুলী তাঁতী লীগের আহ্বায়ক করা হয় বলে জানা গেছে।
২৫ এপ্রিল কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের আংশিক কমিটি দেয়া হয়। নতুন কমিটির নেতারা যাচাইবাছাইকালে বিষয়টি জানতে পারেন। কমিটির নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. দিদারুল আলমই বিএনপি নেতা আব্দুল মালেককে কমিটিতে নিয়ে আসেন। শুধু মালেক নন, দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কর্মীসমর্থকদের পুনর্বাসন করা এবং তাদের নানা রকম সাহায্য-সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দিদারুল আলম টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের আওতায় বিভিন্ন কমিটিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা জানান, এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন আব্দুল মালেক। দুই যুগ আগে ছাত্রদলের আহ্বায়কের পদে থাকার পর যুবদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৪ সালে কর্ণফুলী থানা বিএনপির নতুন কমিটিতে সহসাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। গত বছরের ২৫ নভেম্বর তাঁতী লীগ কর্ণফুলী উপজেলা নতুন কমিটিতে তিনি আহ্বায়কের পদ পান। কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজি ওসমান বলেন, পাঁচ মাস আগে উপজেলা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি হয়েছে। আব্দুল মালেক আমাদের সংগঠনের আগের কমিটিতে (সদ্য বিলুপ্ত) সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, ২৫ এপ্রিল কেন্দ্র থেকে আমাদের আংশিক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আব্দুল মালেকের বিএনপির উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে আমাদের তাঁতী লীগে আসার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে কয়েক দিন আগে তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মালেক বিএনপি নেতা- এটি শতভাগ প্রমাণিত। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রকে অবহিত করব। পূর্ববর্তী কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল আলমের সময় বিভিন্ন কমিটিতে আরো কেউ অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সরকারবিরোধী কোনো সংগঠনের নেতাকে আমাদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে পারি না।
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি বলেন, উপজেলা তাঁতী লীগের এই কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো পরামর্শ নেয়া হয়নি। আব্দুল মালেক কর্ণফুলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। বিএনপি থেকে আসা এ রকম ব্যক্তিকে তাঁতী লীগের কমিটিতে পদ দেয়া উচিত হয়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মালেক ভোরের কাগজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়