পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বড় কোনো সমস্যা নেই

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বড় কোনো সমস্যা নেই। যে চলমান সমস্যাগুলো আছে সেগুলো সমাধানযোগ্য। মুখ্য বিষয়গুলো নিয়ে কোনো বিরোধ বা মতভিন্নতা নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাসকমিউনিকেশনে’র এলামনাই সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ‘কানেকশন-২০২২ এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কভিত্তিক রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তারা সে সময় বাংলাদেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। গত বছর আমরা একসঙ্গে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। যুদ্ধের সময় ভারত শুধু ঘরের দুয়ার নয়, মনের দুয়ার যেভাবে খুলে দিয়েছে তা স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, ভারতের মতো বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র, এ দেশের অভ্যুদয়ে যারা অবদান রেখেছে তাদের সঙ্গে বৈরিতা রেখে আমাদের দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই অঞ্চলেরও উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় মানুষকে সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে, মনন তৈরি করা ক্ষেত্রে এবং তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। যারা এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে আসছেন তারা দুদেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার ক্ষেত্রে, মানুষের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যাতে কোনো ধরনের নেতিবাচক কিছু সৃষ্টি না হয় সেটি করার ক্ষেত্রে আপনারা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া খুবই প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এসব মিডিয়া। তারা সবখানে, সবসময় সক্রিয় থাকে। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা তা তুলে ধরে জাতিকে সেবা দেবে এই প্রত্যাশা করি।
দুদেশের মধ্যে কোনো বৈরিতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। আমাদের জামা, চেহারা, সংস্কৃতি একই। তাই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নত করতে, সম্পর্ক তৈরি করতে মিডিয়া জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে দুদেশের মধ্যে বড় কোনো সমস্যা নেই। কিছু চলমান সমস্যা আছে সমধানের পথে, আরো কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ বা স্থায়ী কোনো বিরোধ নেই।
অনুষ্ঠানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তিনজন সাংবাদিককে পুরস্কার দেয়া হয়। ২০১৯ সালের ‘অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের টিম আন্ডারকভার ও বিশেষ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান শ্রাবণ। ২০২০ সালের ‘ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত’ প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার দেয়া হয় দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রাহীদ এজাজকে। ২০২১ সালের পুরস্কার জিতে নেন বাংলা.কম এর সাংবাদিক শামীমা দোলা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহছানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মাসকমিউনিকেশন’ প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি প্রাসাদ সান্যাল, ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি অপু মাহফুজ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়