পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

ড. কাজী খলীকুজ্জমান : তিস্তা চুক্তি হয়নি সম্ভাবনাও নেই

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, আমাদের সবগুলো নদী একই ধারায় প্রবাহিত। নদীর সঙ্গে দৈনন্দিন জীবন, দেশের ৫৭টি নদীর মধ্যে ৫৪টি ভারত থেকে প্রবাহিত আর ৩টি মিয়ানমার থেকে আগত। ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ শেষের পথে। কিন্তু তিস্তা চুক্তি হয়নি, হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গতকাল শনিবার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে ‘গঙ্গা, তিস্তা, যমুনা, মেঘনা নদীর ব্যবস্থাপনা ও পানির ওপর কৃষক ও আদিবাসীর অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রিভারাইন পিপল মহাসচিব শেখ রোকন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, কামরুল আহসান, হাজি বশিরুল আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে অঙ্গিকার কথার কথায় রয়ে গেছে। বাস্তবায়ন হয় না।
তিনি মনে করেন, প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে না পারলে জীবন ব্যাহত হবে। আমাদের নীতিমালা আছে। কিন্তু বিকেন্দ্রীকরণ না হওয়ায় এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নদী অববাহিকায় অবস্থানের কারণে নদী ব্যবস্থাপনায় আমরা কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এসেছে পানির উপরে। পানি অপর নাম জীবন। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনার নিচে আমাদের অবস্থান। সে কারণে শুষ্ক মৌসুমে আমাদের পানি পরিকল্পনা অনিশ্চিত রয়েছে।
শেখ রোকন বলেন, রাজনীতির ক্ষমতা বদলের সঙ্গে সঙ্গে দখলদারও বদলে যায়। এর সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো নদী প্রকৃতি নিয়ে ভাবে না। নদী নিয়ে আমাদের সাংস্কৃতিক বিমুখতা রয়েছে। ব্যারেজ, ডাইভারশন, ড্যাম, অভ্যন্তরীণ দূষণ, বালুমহাল, জলমহাল দূষণের বাস্তবতা রয়েছে। নদীকে রক্ষা করতে হলে দূষণমুক্ত, দখলমুক্ত করতে হবে। নৌ চলাচলে নদীকে উন্মুক্ত রাখতে হবে। নদীর পানিকে সুপেয় রাখতে হবে। মৎস্য চাষের জন্য নদীর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়