পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

ঋণ পাবেন মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরাও

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এখন থেকে ঋণ পাবেন মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরা। সর্বনি¤œ ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এ ঋণ দেয়া হবে। সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ ও উপায়সহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা পাবেন এই ঋণ। তবে ‘নগদ’ থেকে এখনো এই ঋণ নেয়া যাবে না।
তহবিলের উৎস : এ স্কিমের নাম দেয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এর অর্থায়ন হবে। এজন্য ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে। এ স্কিম হতে প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকা বিতরণ হবে। এর সুষ্ঠু ব্যবহার হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৫০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন হবে। ভবিষ্যতে চাহিদা বিবেচনায় বাড়ানো হবে এ অর্থায়নের পরিমাণ। এ স্কিমের আওতায় তহবিলের মেয়াদ হবে তিন বছর।
সুদের হার ও মেয়াদ : গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার ওপর ১ শতাংশ হারে সুদ আরোপ হবে। ব্যাংক এবং গ্রাহক উভয় পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ছয় মাস।
ঋণ প্রসেসিং থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে পারবে।
ঋণ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণের সহজলভ্যতা ও ব্যাংকের তহবিল ব্যয় হ্রাস করে ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’ প্রদানে এই স্কিম গঠন করা হয়েছে। ব্যাংক-কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারার আওতায় এ নির্দেশনা জারি করা হলো, যা কার্যকর হবে অবিলম্বে। ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ’ হচ্ছে- ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস), ই-ওয়ালেট ইত্যাদি ব্যবহার করে তফসিলি ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা।
এই ঋণ বিতরণকারী সব তফসিলি ব্যাংক এ সুবিধা গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের (এফআইডি) সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে। এদিকে চলতি বছরের (২০২২ সাল) মার্চ মাস পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং-এ নিবন্ধিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৪০৫টি। আর ১১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩টি এজেন্টের সংখ্যা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়