পদ্মা সেতুর উদ্বোধন : সারাদেশে উৎসব হাতিরঝিলে হবে লেজার শো

আগের সংবাদ

সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞের দায়ভার কার : নিহত অর্ধশত, দগ্ধ-আহত আড়াইশর বেশি, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মজুতের অনুমতি ছিল না, ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

পরের সংবাদ

ঈদের আগেই ১১ দফা বাস্তবায়ন চায় শিক্ষক সমিতি

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বাজেটে শিক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ ও ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। ঈদের আগে এ দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে সারাদেশে একযোগে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।
অবসরে যাওয়ার আগেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। এছাড়াও কোনো সুবিধা না দিয়েই বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে। নেই কোনো বদলি কিংবা পদোন্নতির সুবিধা।
এ সময় তিনি ১১ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবি পূরণ করবেন। এছাড়াও ইউনেস্কো আইন অনুযায়ী, শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ দেবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ঈদের পর আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো হলো- মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে, আসন্ন ঈদের আগেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালু এবং পেনশন প্রথা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা দিতে হবে ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করতে হবে, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেড দিতে হবে, চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করতে হবে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতোই শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস দিতে হবে, ম্যানেজিং কমিটি গভর্নিং বডির সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়