ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

সিপিবির সমাবেশে দাবি : দাম কমাও জীবন বাঁচাও ভোটের অধিকার দাও

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ার প্রতিবাদ ও ভোটাধিকারের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখা গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। বিকালে নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে ‘দাম কমাও, জান বাঁচাও, ভোটাধিকার দাও’ এই স্লোগানে সিপিবির দাবি দিবসের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী ও মছি উদ-দৌলা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। দেশে আড়াই কোটি মানুষ বেকার ও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষের মজুরি-বেতনও বাড়েনি। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয়ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় সরকার দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণা লাঘব না করে উল্টো গ্যাস, জ্বালানি তেলসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম দ্বিগুণ করার পাঁয়তারা করছে। নেতারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য আবারো প্রক্রিয়া চলছে। চালের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। চাতাল মালিক, মিল মালিকদের দৌরাত্ম্য ও পরিবহনে চাঁদাবাজি দূর করতে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি দেশের তেল, চিনি, ডালের বাজার। সরকার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলছে। তারা বলেন, তাই বর্তমান অবস্থা অবসানের জন্য জনগণকে আজ ঘুরে দাঁড়াতে হবে। রুটি-রুজি, ভাত-কাপড়, ভোট-গণতন্ত্রের দাবিতে সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমাবেশ থেকে গরিব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলা, অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, লুটেরা-মজুতদার-মুনাফাখোর-মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়