ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

রাজধানীর বাজারদর : এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই যার দাম বাড়েনি

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মূল্যস্ফীতির বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। চাল, ডাল থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। কোনো কোনো পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। আমদানিনির্ভর পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত নিত্যপণ্যের দামও আকাশচুম্বী। রাজধানীর বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে রসুনের দাম। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে এখন ক্রেতাদের দুইশ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে মাছ, মাংস ও সবজির দামও।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, যা তিন সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা তিন সপ্তাহ আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের রসুনের সরবরাহ কম। আবার আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এ কারণেই রসুনের এমন দাম বাড়তি। তবে আমাদের ধারণা কয়েক দিনের মধ্যে রসুনের দাম কিছুটা কমে যাবে। রসুনের দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যা এক সপ্তাহে আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
রাজধানীর সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। ব্যবসায়ীরা এক কেজি গাজর বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। গাজরের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পাকা টমেটোর দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গাজর ও টমেটোর দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল বলেন, এখন গাজর ও টমেটোর মৌসুম নয়। আগে মজুত করে রাখা কিছু গাজর, টমেটো এখন পাওয়া যাচ্ছে। তবে সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে দাম বাড়তি। সামনে টমেটোর কেজি একশ টাকা হয়ে যেতে পারে। বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরা বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা। ঈদের আগে কেজি ৭০০ টাকা উঠে যাওয়া গরুর মাংসের দামেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি করছেন। তবে মহল্লার সাপ্তাহিক ব্যবসায়ীরা গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছেন ৭২০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়