ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৩৪ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে। সামষ্টিকভাবে কর-পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি টাকা।
গত ৩০ মে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসের আর্থিক ফলাফল ও পরিচালনাগত অর্জনগুলো ঘোষণা করে ব্র্যাক ব্যাংক। স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ব্যাংকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এন্ড সিএফও এম মাসুদ রানা এফসিএ, ডিএমডি এন্ড সিওও মো. সাব্বির হোসেন, ডিএমডি এন্ড হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডিএমডি এন্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ডিএমডি এন্ড হেড অব ট্রেজারি এন্ড এফআই মো. শাহীন ইকবাল প্রমুখ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য : এককভাবে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ০.৮৯ টাকা, যা ২০২১ সালে একই সময়ে ছিল ০.৯৪ টাকা। শেয়ারপ্রতি ব্যাংকের নিট অ্যাসেটস মূল্য ৩৭.১৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৩০.৭২ টাকা। শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (৬.৯০) টাকা থেকে বেড়ে ৫.১৭ টাকা হয়েছে। ব্যাংকের কৌশলগত পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লোন পোর্টফোলিও ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অ্যাসেটের প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে আমানত প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত ছিল। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমানতে ৩.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। মোট আমানতের ৫৩ শতাংশ এসেছে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে। এছাড়া নিট ইন্টারেস্ট মার্জিন ০.৬০ শতাংশ হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও মোট আয় ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি, ফি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের আয়ের ফলে এটি হয়েছে। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় পরিচালনা ব্যয় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪.১ শতাংশ, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩.৯ শতাংশ। মন্দ ঋণের জন্য পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করা হয়েছে। ভবিষ্যতের কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ১১৭ শতাংশ এনপিএল কভারেজ নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের অর্জিত প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল প্রমাণ করে যে, অর্থনীতি মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠায় ব্যাংক নতুন গ্রাহক নিয়ে আসতে ও ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে। আমাদের দৃঢ় গ্রাহক ভিত, বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল চ্যানেল এ প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। বিজ্ঞপ্তি।