ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগ : আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দীন আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে কঠোর শাস্তি দাবি এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন কলেজের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অধ্যক্ষকে কঠোর শাস্তির আওতায় না আনলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পিএইচডিধারী, অঢেল আর্থিক দুর্নীতি ও ব্যাপক অন্যায়-অনিয়মে জড়িত থাকা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জসিম উদ্দীন আহমেদ ও তার দোসর কতিপয় অসাধু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কলেজের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গভর্নিং বডির যোগসাজেশে অনৈতিকভাবে চারজন শিক্ষককে প্রায় দুই বছর চাকরি করার পরও ২০১৭ সালে প্রবেশনারি দেখিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে চাকরিচ্যুত করেন অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন। একাধিক কর্মচারীকে চাপ প্রয়োগ করে চাকরি হতে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার পরেও ২০২২ সালে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের পোশাক বাণিজ্য করে ৫০-৬০ লাখ টাকা আদায় করে ভাগ-বাটোয়ারা করা, রিটেক পরীক্ষা, জরিমানা, পুনঃভর্তি, কলেজ হোস্টেলের টাকা আত্মসাৎ ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগ উঠেছে, রাজধানীর লিংকনস হায়ার এডুকেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার সহযোগী মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক তৌফিক আজিজ চৌধুরী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রির সার্টিফিকেট ক্রয় করে তা কলেজে জমা দিয়ে পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এসব অনৈতিক কাজ তারা অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সহায়তা নিয়েই করেছেন।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রীকে পদোন্নতি দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তৌফিক আজিজ চৌধুরী। পরে আমি প্রিন্সিপাল বরাবর তাৎক্ষণিক অভিযোগ করলে তৌফিক সাহেব আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করেন। আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক মারুফ নেওয়াজ বলেন, অধ্যক্ষ এবং তার অনিয়মের সহযোগী শিক্ষকরা মিলে, গভর্নিং বডির সহায়তায় কলেজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
গত ১৪ বছর ধরে গভর্নিং কমিটি অনৈতিকভাবে, জোরপূর্বক আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নামে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়