ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

জিন তাড়ানোর নামে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানি, মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে জিন তাড়ানোর কথা বলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২ জুন রাতে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ তথ্য পেয়ে মো. আশিকুল ইসলাম (৩৪) নামের ওই মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়। যৌন নির্যাতনের শিকার ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরী নগরীর একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ওই স্কুলছাত্রী পরিবারের সঙ্গে নগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকায় থাকেন। শারীরিক নানা জটিলতায় অসুস্থ মেয়েটি গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়ার পর স্থানীয় একজনের পরামর্শে তার পরিবার মুয়াজ্জিন আশিকুলের শরণাপন্ন হয়। আশিকুল জানান, তাকে জিনে ধরেছে, জিন তাড়াতে হবে। ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা না করালে তিন দিনের মধ্যে সে মারা যাবে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটির পরিবার রাজি হয়। এ সময় চিকিৎসা খরচ বাবদ ২১ হাজার টাকা দাবি করেন আশিকুল। ভিকটিমের বাবা ভয়ে তার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় যান আশিকুল।
তিনি জানান, ভিকটিম মেয়েটিকে দরজা-জানালা বন্ধ করে রুমের মধ্যে একা রেখে চিকিৎসা করতে হবে। এ কথায় রাজি হয়ে রুম থেকে মেয়েটির মা-বাবা বের হয়ে যান। এ সুযোগে আশিকুল ইসলাম মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। প্রায় পাঁচ মিনিট পর মেয়েটি চিৎকার দিয়ে কান্না করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে পরিবারকে জানায়, আশিকুল তাকে রুমের মধ্যে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। পরিবারের সদস্যরা আশিকুলকে ওই কক্ষেই আটকে রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিম মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আশিকুল ইসলাম বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের সরলবাজার গ্রামের হাবিবুল আলমের ছেলে। নগরীর সদরঘাট থানার দারোগাহাট এলাকায় হাজি নসু মালুম মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়