ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

‘ছন্দ লিখতে খুব ভালো লাগে’

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বই চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করে। বই পড়ার নানা দিক নিয়ে কথা হয় অভিনেতা মনোজ প্রামাণিকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন

ছেলেবেলার পাঠ
আমি যখন ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়ি তখন থেকেই পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়া শুরু করি। স্কুলে পড়ার সময় ছোটদের মহাভারত, রামায়ণ, চাচা চৌধুরী- এগুলো পড়া হতো। আরো বড় হওয়ার পর গল্প এবং উপন্যাস পড়েছি।
ক্লাস সেভেন-এইটের দিকে হুমায়ূন আহমেদ, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথের বই পড়া হয়েছে। আমার বাবা বাংলায় পড়েছেন। বাসায় লিটারেচারের বই আগে থেকেই ছিল। বাবা অনেক বই পড়তেন। সে সুবাদে খুব ছোট থেকেই আমার বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। আমার এক মামা ছিলেন তিনিও বাংলায় পড়েছেন। তিনি আমাদের বাসায় বইয়ের একটা ট্যাংক রেখে গিয়েছেন। সে বইগুলো আমি পড়তাম।

সাম্প্রতিক পাঠ
আমি ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিষয়ে পড়াচ্ছি। সে বিষয়ের বইগুলো পড়া হয় অনেক বেশি। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নষ্টনীড় গল্পটা আবার পড়েছি।

যে ধরনের বই বেশি পড়া হয়
গত কয়েক বছর ধরে লিটারেচারের বই একটু কম পড়া হচ্ছে। ফিল্ম মেকিং, ফিল্ম স্টাডিজ এই বিষয়ের বইগুলো বেশি পড় হয়। এক কথায় বললে, গবেষণাধর্মী বই বেশি পড়া হচ্ছে এখন।

প্রিয় লেখক
প্রিয় লেখকের তালিকা অনেক বড়। বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিটা লেখকের লেখাই আমার কাছে প্রিয়। কোনো একটা বই যদি বাজারে নাও বিক্রি হয় তবুও সে বইটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু আলাদা হয়। একেকজন লেখকের চিন্ত-ভাবনা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যাদের লেখা আমাকে মুগ্ধ করে তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদুল জহির। শহীদুল জহিরের লেখা ভালো লাগার অন্যতম কারণ তার লেখার মধ্যে মাদকতা আছে, একধরনের ঘোর আছে। যেটি অন্য কারো লেখায় আমি কখনো পাইনি। তিনি যে কোনো লেখা ঢালাওভাবে লিখেন। যে কারণে তার লেখা শুরু থেকে শেষ অবধি পড়তে গেলে থামার প্রয়োজন হয় না। তিনি ঘটনা যেভাবে বর্ণনা করেন সেটি আমার খুব ভালো। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয় তার লেখনিতে ফুটে উঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখাও ভালো লাগে। কবিতায় ভালো লাগে জীবনানন্দ দাশ, আল মাহমুদ। এছাড়া ফ্রানৎস কাফকা, উইলিয়াম শেকসপিয়ারও পড়তে ভালো লাগে।

লেখালেখি
আমি মাঝে মধ্যে কবিতা লিখি। ছন্দ লিখতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি এমনিই লিখি। কোথাও ছাপানো কিংবা কাউকে দেখানোর উদ্দেশ্যে লিখি না। যদি কোনো সুযোগ থাকে তাহলে আমি আমার কথাগুলো লিখব। আমি যা বলতে চাই। যা মানুষকে জানাতে চাই। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে ছন্দ শিখেছি। তখন আমরা ছন্দ মিলায়ে মিলায়ে কথা বলতাম। এটা খুব মজার ছিল।

কেন বই পড়ব
বই হচ্ছে একজন লেখকের জীবনের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি। বই পড়লে অন্য একজনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায়। একটা বইয়ের জানালা দিয়ে আমরা অন্য একটা জগৎ দেখতে পারি, অন্য একটা জগৎ আবিষ্কার করতে পারি। নিজেকে আলোকিত করার জন্য বই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বইমেলার স্মৃতি
২০০১ সালে প্রথমবার বই মেলায় গিয়েছি। আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। অভিনয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় রাজশাহী থেকে সিলেক্টেড হয়ে ঢাকায় আসছিলাম। আমরা পুরো টিমসহ একসঙ্গে ওইদিন বইমেলায় যাই। থিয়েটারবিষয়ক কিছু বই কেনা হয়েছে ওইদিন। বইমেলায় নিয়মিত যাওয়া হয় না। তবে লেখক এবং নতুন বই বের হলে খোঁজখবর রাখা হয়। আর এখন তো অনলাইনে বই কেনার সুযোগ আছে। অনলাইন থেকে বই কেনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়