ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে অপরাধ : দিনে বাসচালক-হেল্পার, রাত হলেই ধর্ষক ও ছিনতাইকারী

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকায় গত ১৯ মে রাতে যে চলন্ত বাসে গার্মেন্টসের এক নারী কর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল সেই বাসটির (ঢাকা মেট্রো-জ-৪৮৪৫) মূল চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে একটি ছিনতাইয়ের মামলায় গত ২ জুন রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তার অন্য সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ। বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার জানান, ছিনতাই মামলায় বাসের মূল চালক মো. গিয়াস উদ্দিন নয়ন (২১) এবং তার সহযোগী সীমান্ত দত্তকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই একই বাসে গত ২১ মে আরেকটি ছিনতাইয়ের অভিযোগে নগরীর পাহাড়তলী থানা আশরাফুল ইসলাম (২৮), মো. মিন্টু (২৫) ও নঈম উদ্দিনকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই জানা যায়, ওই বাসটি ব্যবহার করে ধর্ষণের চেষ্টা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ করে চলেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
এসআই কিশোর মজুমদার বলেন, গিয়াস ও তার সহযোগী টিপুসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামি, সবাই একই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তিনি জানান, পলাশ কান্তি দে নামে এক ব্যক্তি বন্দর থানায় একটি মামলায় অভিযোগ করেন, গত ২০ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ইপিজেড এলাকার বে-শপিং সেন্টারের সামনে থেকে বাসে ওঠেন। নিমতলা বিশ্বরোডে বাস পৌঁছার পর তাকে নামিয়ে দেয়ার জন্য বললে চালক দ্রুতগতিতে বাসটি বড়পোলের দিকে টান দেন। তিনি চিৎকার করলে বাসে যাত্রীবেশী তিনজন তাকে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর বাস সিটি গেট এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক তার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর নিয়ে তার মোবাইলে থাকা বিকাশ একাউন্ট থেকে ৪০ হাজার ৮০০ টাকা তুলে নেয়। পলাশকে বাসের ভেতর আটকে রেখেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিনেমা প্যালেস মোড় এবং বহদ্দারহাটে গিয়ে তিন দফায় এসব টাকা বিভিন্ন বিকাশ সেন্টার থেকে তুলে নেয়।
পরে লালখান বাজার এলাকায় ফ্লাইওভারে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পলাশকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। আহত পলাশ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার এসআই বলেন, নিমতলাসহ আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আমরা দেখি, যে বাসটিতে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল, সেই একই বাসেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৯ মে রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে ২০ বছর বয়সি এক তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জানতে পেরে পুলিশ তরুণী কীভাবে আহত হলো- এ নিয়ে অনুসন্ধান ?শুরু করে। টানা পাঁচদিন সংজ্ঞাহীন ছিলেন ওই তরুণী। ২৪ মে তার জ্ঞান ফেরে। পর দিন তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এরপর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, পেশায় পোশাককর্মী ওই তরুণী প্রতিদিন কারখানার নির্ধারিত বাসে আসা-যাওয়া করেন। ১৯ মে রাত ৯টার দিকে কারখানা ছুটি হলে তিনি একই কারখানার আরো ১০-১২ জন শ্রমিকের সঙ্গে বাসে ওঠেন। বাস বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছানোর পর অন্য শ্রমিকরা নেমে যান।
তিনি নামার চেষ্টা করলে বাসচালক দ্রুত বাসটি টান দিয়ে বাহাত্তার পুলের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়