ভারতের গমে রুবেলা ভাইরাস : অর্ধলাখ টন ফেরত দিল তুরস্ক

আগের সংবাদ

কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন : ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবি

পরের সংবাদ

কেকের বর্ণাঢ্য প্রেম জীবন

প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শুধু সংগীতশিল্পী হিসেবেই নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনও খুবই সুন্দর ছিল তার। স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণার সঙ্গে আজ ৩০ বছরের বেশি দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ সব ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভেঙে পড়েছেন তার স্ত্রী। শুধুই ৩১ বছরের দাম্পত্য জীবন নয়, তার আগেও কয়েক বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের। প্রেমিকা জ্যোতিকেই বিয়ে করেছিলেন কেকে।
সময় এগোলেও সমাজের নিয়ম বদলে যায়নি। না এখন না আজ থেকে ৩০ বছর আগে। কিন্তু তখনো প্রেমের সম্পর্ক পূর্ণতা পেয়েছে। আর এখনো পায়। তার জন্যই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন। সঙ্গীর প্রতি ভরসা করতে পারলে ও সঙ্গীর ওপর বিশ্বাস রাখলে হয়তো অনেক সম্পর্কই সহজ হয়ে যায়। মাঝপথে হাত ছেড়ে যায় না তাদের। কেকে ও জ্যোতির ক্ষেত্রেও তার প্রমাণ পাই আমরা। শোনা যায়, কৈশোর জীবন থেকেই একে অপরের সঙ্গে পরিচয় ছিল তাদের। কৈশোরের প্রেম জ্যোতির হাত ছেড়ে যাননি কেকে। এদিকে কেকে যখনও প্রতিষ্ঠিত নয়, তখন তার প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলেন কেকের স্ত্রী জ্যোতি।
‘বেকার’ ছেলের সঙ্গে কোনোভাবেই বিয়ে দেবে না। বিয়ে করার জন্য ছেলেটির চাকরি খুবই প্রয়োজন। এখনো তাই ছেলেটির চাকরির ওপর খুব জোর দেয়া হয়। কেকেকেও এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই সময় পাশে ছিলেন জ্যোতি।
১৯৯১ সালে বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েন কেকে ও জ্যোতি। তবে এই বিয়ে পর্যন্ত পথ এত সুমসৃণ ছিল না। সেই সময় কোনো চাকরি করতেন না বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী। তাই তার ওপর চাকরির চাপ তো ছিলই। কারণ ‘বেকার’ ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গেই বিয়ে করবেন, এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তিনিও।
একটি চ্যাট শোয়ে কেকে জানিয়েছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়েই জ্যোতিকে বিয়ে করার জন্য সেলসের চাকরি নিয়েছিলেন কেকে। সেই সময় সেভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে ৩১ বছর পার হয়েছে। একে অপরের হাত ছেড়ে দেননি তারা। যদিও সেই সেলসের চাকরি খুব বেশিদিন করতে পারেননি শিল্পী। বরং তিন মাস পরই তাকে সেই চাকরি ছাড়তে হয়েছিল।
যে সময়ে কেকে ও জ্যোতির সম্পর্ক ছিল সেই সময় প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ছিলেন না কেকে। ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন তারা। কেকের প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আজ দুই দশক পরও তার প্রত্যেকটি গান একইভাবে জনপ্রিয়, যেন চিরসবুজ।
জ্যোতি ও কেকের পেশা একই নয়। পেশায় সংগীতশিল্পী কেকের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। এমনকি তার স্টারডমের কোনো প্রভাবও পড়েনি সম্পর্কে। দুজনের দাম্পত্য জীবন সত্যিই এক উদাহরণ হতে পারে আমাদের কাছে। কেকে ও জ্যোতির দুই সন্তান রয়েছে। নকুল ও তামারা।
::হ মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়